ঢাকারবিবার , ২৩ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত সম্মৃদ্ধ দেশে রূপান্তরিত হবে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৩, ২০২৪ ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ । ৩৮ জন

প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক সুখী, সম্মৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে। এবং কৃষি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় খাত। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই বাজেটে কৃষি খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে বলে জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রী।

গতকাল (২২ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। গত ৬ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন একটা দেশকে বঙ্গবন্ধু যখন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নিশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তার পরবর্তীতে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এরকম নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড পৃথিবীতে আর হয়েছে কিনা জানিনা! যা ছিল ঘৃণ্য জঘন্য হত্যাকান্ড। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে যারা এখনো পলাতক আছে, তাদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।

আব্দুস শহীদ বলেন, দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিতে সম্পৃক্ত। সত্যিকার অর্থে এদেশের কৃষকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করা চলবে না। প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরকেই উৎপাদন করতে হবে। কৃষকদেরকে বাঁচাতে হবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা নাহলে কৃষি তথা দেশকে বাচাঁতে পারবো না।’

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ১১টি বিশেষ অধিকার উল্লেখ করেছি। যার একটি- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করা। অপরটি হলো- লাভজনক কৃষির জন্য সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

চলতি বছর ধানের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষকদের হার্বেস্টার মেশিন দেয়ায় একটা ধানও প্রাকৃতিক দূর্যোগে নষ্ট হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের প্রতিটি কৃষক যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে এবং কৃষকদের অর্ধেক ভর্তুকীমূল্যে সার, কীটনাশক দেয়া হয়।’