ঢাকাবুধবার , ২২ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

৩০ উপজেলায় চক্ষু চিকিৎসা কমিউনিটি বেইজড করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২২, ২০২৪ ১:৪৩ অপরাহ্ণ । ৬০ জন

গোপালগঞ্জসহ ৯ জেলার ৩০ উপজেলায় চক্ষু চিকিৎসা সেবা কমিউনিটি বেইজড করা হচ্ছে।কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে চোখের সাধারণ সমস্যাগুলোর সেবা দেওয়া হবে। জটিল রোগী চিহ্নিত করে ফোকাল পার্সনের কাছে পাঠানো হবে। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে রেফার করবেন। চক্ষু হাসপাতালের একটি কক্ষে পুরো প্রক্রিয়াটি সুপারভিশন করা হবে। এ হাসাপাতাল থেকে ওই রোগীরা উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন ।

গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক প্রফেসর নাহিদ ফেরদৌসী এসব তথ্য জানিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা বিগত ২০২২ সালের ২৩ মার্চ শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে যোগদান করেন। তারপর থেকেই তিনি দা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ নিয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর ওই সনের জুলাই মাসে তাকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সুপারভিশন ও মনিটরিং এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে কাজ শুরু করেন।

কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসা বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ ফজিলাতুন্নেছা চক্ষু হাসপাতালে ৩ দিনের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে । তিনি ইতিমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ স্বর্ণ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।গত ৩০ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিক দিবসে তিনি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে এ পদক গ্রহণ করেন। এ পদক পাওয়ার পর ওই কর্মকর্তার কম্উিনিটি ক্লিনিক নিয়ে কাজ করার স্পৃহা আরো বেড়ে গেছে। তাই তিনি গোপালগঞ্জসহ ৯ জেলার ৩০ উপজেলায় চক্ষু চিকিৎসা সেবা কমিউনিটি বেইজড করার পরিকল্পনা করেছেন।

প্রফেসর ডা.নাহিদ ফেরদৌসী বলেন, কমিউনিটি বেইজড চক্ষু চিকিৎসা সেবা বাস্তবায়নে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল ও পিরোজপুর জেলার ৩০টি উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের ১ হাজার ৫শ’ জন সিএইচসিপিকে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে তারা কমিউনিটি ক্লিনিকে চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।

এছাড়া জটিলরোগীকে তারা রেফার করে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালের ফোকাল পার্সনের কাছে পাঠাবেন।ফোকাল পার্সনরা এসবরোগীদের মধ্যে থেকে বাছাই করে কোন কোন রোগীকে চক্ষু হাসপাতালে পাঠাবেন। পুরো প্রক্রিয়া চক্ষু হাসপাতালের একটি কক্ষে সুপারভিশন করা হবে। আমরা কমিউনিটি বেইজড চক্ষু চিকিৎসা দিয়ে ছানি জনিত অন্ধত্ব ও অন্যান্য অন্ধত্ব নিবারণ করব।এতে করে বিশাল জনগোষ্ঠী কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে। এটি সফল হলে আমরা মা ও শিশু রোগীর চিকিৎসা এভাবে কারার উদ্যোগ গ্রহণ করব।