ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বহরে কর্পোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও ডিএনসিসির বহরে একটি আধুনিক ভ্রাম্যমাণ টয়লেট যুক্ত হয়েছে। এই ট্রাক গুলোর মাধ্যমে কর্পোরেশন প্রতিদিন অতিরিক্ত প্রায় ৩৫০টন বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই যানবাহন যুক্ত করার মাধ্যমে ডিএনসিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রমাণ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে সিটি কর্পোরেশনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছি।’
বুধবার (১২ জুন) সকালে রাজধানীর গাবতলি ডিএনসিসির প্রস্তাবিত কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাঠে ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন ৩২টি ডাম্প ট্রাক এবং ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাকের সংযোজন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেছেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র এবছর ঈদুল আজহায় ৬ ঘন্টায় কোরবানীর বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন।
মেয়র বলেন, ‘গত বছর সবার চেষ্টায় উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৮ ঘন্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিল। এবার আমাদের টার্গেট ছয় (৬) ঘন্টার মধ্যেই কোরবানীর বর্জ্য অপসরণ করা। ৪০টি ট্রাক যুক্ত হওয়ায় এই বছর বর্জ্য অপসারণে আরও গতি বাড়বে। যে ৮টি আধুনিক কম্প্যাক্টর ট্রাক যুক্ত হল এগুলো সাধারণ ট্রাকের চেয়ে দশগুণ বেশি বর্জ্য অপসারণে সক্ষম। কম্প্যাক্ট করার মাধ্যমে একসাথে অনেক বর্জ্য বহন করতে পারবে এই ট্রাকগুলো।’
৬ ঘন্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ঈদে বর্জ্য অপসারণের জন্য ১০ হাজারের অধিক কর্মী কাজ করবে। ১০ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন, টুকরী, ফিনাইল দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা ও ডিএনসিসির কর্মীরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করবে। আমি নিজে মাঠে থাকবো। জনগণকে অনুরোধ করছি যত্রতত্র কোরবানির বর্জ্য ফেলবেন না। নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিবেন। গতবারের মতো জনগণের সহযোগিতা পেলে নির্ধারিত ৬ ঘন্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করবো।’
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘হাটের নিয়ম ভেঙে সড়কে কেউ হাট বসালে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়ম ভাঙলে ১০ শতাংশ সিকিউরিটি মানি রাখা হয়েছে সেটি বাজেয়াপ্ত করে দিব। অন্যান্য বছর দেখেছি ইজারাদার হাটের বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণ করে না। তাই এবছর আমরা পরিচ্ছন্ন ফি কেটে রেখেছি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরাই যথাসময়ে কোরবানির হাটের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মোঃ আশরাফুল আলম এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।