জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আমাদের অনেক ছেলে-মেয়ে আহত হয়েছেন, অনেকে শহীদ হয়েছেন। যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। আহতদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। চিকিৎসকদের পরামর্শে আহত তিনজনকে এরইমধ্যে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে আহতদের সুচিকিৎসা বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসক-নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকটও রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনাকালে অনেক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অথচ আমরা তাদের স্মরণ করি না। বৈষম্যের যে কথা উঠে এসেছে, তা নিয়ে আমি বলব- শুধু চিকিৎসকরা নন, নার্সরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে উপদেষ্টা বলেন, হাসপাতালটি ২২শ শয্যার হলেও রোগী থাকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ধারণক্ষমতার বাইরে রোগী থাকায় কিছু তো ব্যতিক্রম হবেই। এখানে বাড়তি টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগ আছে। এখানে সরকারেরও যথেষ্ট দায়বদ্ধতা আছে।
পরে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমা, সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।