ঢাকারবিবার , ৫ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

আমদানির খবরে কমছে পেঁয়াজের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ৫, ২০২৪ ২:৪৫ অপরাহ্ণ । ১১৮ জন

ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৫৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে ভারত। রবিবার ও সোমবারের মধ্যে বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে ঢুকবে বলে আশা আমদানিকারকদের।

শনিবার (৪ মে) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য দপ্তরের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তস কুমার সারাঙ্গি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির কারণে হিলির মতো পুরো দেশেই কোরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম কমবে।

আমদানি করা পেঁয়াজ এলে কেমন দাম কমতে পারে জিজ্ঞেস করলে রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তদাররা বলেন, হয়তো ৫০ টাকার আশপাশে থাকতে পারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য। তবে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজারেই এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। খুচরায় যা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ কোথাও কোথাও ৮০ টাকায়।

অন্যদিকে হিলি বাজারের কয়েকজন পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে বাজারে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। যে পেঁয়াজ শনিবার ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, রোববার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে।

ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ। গত ডিসেম্বরে তারা প্রথম পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়।

বাংলাদেশ যত পেঁয়াজ আমদানি করে, তার সিংহভাগই আসে ভারত থেকে। তবে, ভারত পেঁয়াজ না দিলেই উৎপাদন ও মজুদ যায়ই থাকুক, দেশে বেড়ে যায় মশলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম।