ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ খোলাবাজারে বিক্রি শুরু করেছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে সংস্থাটি। প্রায় ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের প্রথম চালান গত রোববার দেশে এসে পৌঁছায়। গত (২ এপ্রিল, ২০২৪) মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনের সামনে আমদানি করা এই পেঁয়াজের বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।
উদ্বোধনের পর গতকাল থেকে ঢাকা মহানগরের ১০০টি স্থানসহ গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন খোলাবাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের একটি চালান গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
পেঁয়াজ বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কারণে আমরা পেঁয়াজ পেয়েছি। তবে দাম কমাতে খানিকটা দেরি হয়েছে। ভারতের ৮০০ ডলারের পেঁয়াজ ৪০০ ডলারে আমরা আনতে পেরেছি।’ এ সময় ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ দেওয়ার জন্য ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, পর্যায়ক্রমে বাকি পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এ বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। তাতে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।
এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, রাশিয়া ও ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে তাঁর মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পেঁয়াজের এ আমদানি কার্যক্রম সরকারের সফল বাণিজ্য কূটনীতির ফল। ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশের জন্য দেশটি বিশেষ কোটা রাখবে বলে আশা করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ।