ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

আর কত টাকা বিনিয়োগ হলে লাভের মুখ দেখবে রেল?

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩, ২০২৪ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ । ৫০ জন

গেলো ১৪ বছরে দেড় লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও লোকসানে ডুবে আছে রেলওয়ে। এ খাতে প্রতি বছর গড় লোকসান দুই হাজার কোটি টাকা। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণেই ঘটেছে এমনটা। এজন্য মহাপরিকল্পনাকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ তাদের।

মৃতপ্রায় রেলকে উজ্জীবিত করতে দুদফায় ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা হাতে নেয় আওয়ামী লীগ সরকার। এ সময় রেলের বিনিয়োগ ছাড়ায় অতীতের সব রেকর্ড। গেলো ১৪ বছরে বাস্তবায়িত হয় ৯০টি প্রকল্প, যাতে খরচ হয় ৭২ হাজার কোটি টাকা। এরপরও ৭৫ শতাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন, ৬০ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ রেল লাইন, কোচসংকট, আর লোকসান নিয়েই চলছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটি।

বুয়েটের শিক্ষক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামানের মতে, বাস্তবায়ন হওয়া অধিকাংশ প্রকল্পেরই উপযোগিতা নেই। তিনি বলেন, সুন্দর সুন্দর কথা বলে সুবিধা নিয়েছে; কিন্তু যে মাত্রায় এর সুফল পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছে না। মূলত যাত্রীবান্ধব হওয়ার জন্য যেভাবে পরিকল্পনা নেয়ার কথা ছিল, সেখানে সীমাবদ্ধতা আছে।

এর সঙ্গে একমত নতুন রেল সচিব আব্দুল বাকী। তিনি বলেন, কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প নেয়া হয়েছে এবং তার সময় বাড়ানো হয়েছে।

মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৪৫ সালের মধ্যে ভোলা বাদে সব জেলাতে করা হবে রেলের সম্প্রসারণ। বিদ্যমান সব মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। অন্যদিকে, সাড়ে ৪ হাজার কোচ, আর ৫ হাজার ওয়াগন কেনার পরিকল্পনা রেলের।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো বাস্তবায়ন করতে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু আধুনিক রেলব্যবস্থা গড়তে প্রযুক্তি নির্ভরশীলতার প্রয়োজন আছে। ফলে মহাপরিকল্পনা সংস্কার করে নতুনভাবে কাজ করার সুপারিশ তাদের।

এখন পর্যন্ত ডিজেলচালিত ইঞ্জিনে রেল চললেও, মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩৫ সালের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন চালুর পরিকল্পনা আছে বাংলাদেশ রেলওয়ের।