উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের পর ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ‘আমদানি নীতি আদেশ, ২০২১-২৪’ সংশোধন করে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট অন্তর্ভুক্ত করে সম্প্রতি গেজেট জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন দেশে আর্থ-সামাজিক খাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতি আদেশে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট (ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম) নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তরুণদের সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট মনে করে সরকারের এই পদক্ষেপ সার্বিক জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং তরুণদের নতুন মরণফাঁদ থেকে রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।
ই-সিগারেট মূলত কম্পিউটার আইটেম বা ইলেকট্রনিক আইটেম হিসেবে ব্যাগেজে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন স্কুলের পাশের দোকানে এবং অনলাইনে এগুলো অবাধে বিক্রয় হচ্ছে, যা শিশু-কিশোরদেরও আকৃষ্ট করছিল। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশে বিক্রয়, বিতরণ এবং ব্যবহারও সীমাবদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, স্বাস্থ্যহানিকর এই পণ্যটি যাতে এয়ারপোর্ট, কাস্টমস বা অন্যকোন মাধ্যমে ই-সিগারেট বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোর নজরদারি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।