তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষায় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সকল পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি)। আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৪) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ইএনডিএস) সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, রেল মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করেছে নানাবিধ ইতিবাচক পদক্ষেপ যা সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকায় ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইলেকট্রনিক সিগারেট কে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ইউএস সার্জন জেনারেল রিপোর্ট অনুযায়ী, ই-সিগারেট ব্যবহারে হার্ট এট্যার্ক, স্ট্রোক ও ফুসফুসের ক্ষতি হয়। বিশ্বের অনেক দেশ ই-সিগারেটের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ইতোমধ্যেই ৪২টি দেশ ই-সিগারেটকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে এবং আরো ৫৬টি দেশ ই-সিগারেট ক্রয়-বিক্রয়ের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসের (ভ্যাপিং, ই-সিগারেট) প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে তামাক কোম্পানি বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, টিসিআরসি মনে করে, সরকারের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটি উদাহরণ স্থাপন করবে। তবে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কেবল একটি মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টেই যথেষ্ট নয়। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ, কর বৃদ্ধি, এবং আইন বাস্তবায়ন প্রভৃতি বিষয়গুলোর সাথে কৃষি, অর্থ, স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পরিকল্পনা ও তার সুষ্ঠ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।