এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০টি স্থাপনাকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।
গতকাল (৩০ জুন) রবিবার করপোরেশনের যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি, জুরাইন বউ বাজার ও আশপাশ, ধানমন্ডি ১০/এ রোডের আশপাশ, পূর্ব মানিকনগর, নতুন রাস্তা পূর্ব ত্রিমোহনী, যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি, মান্ডার বড় পাড়া, গ্রিন মডেল টাউন এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধানমন্ডির ১০/এ রোডের আশপাশ এলাকায় ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ৪টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ ইভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মানিকনগর, নতুন রাস্তা এলাকায় ৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল- নোমান ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ত্রিমোহনী এলাকায় ৪৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে। আদালত অভিযানে কোন লার্ভা পায়নি।
সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডার বড় পাড়া, গ্রিন মডেল টাউন এলাকায় ৫৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল বিছিল ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ি এলাকায় ১৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ২টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
দশ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের জুরাইন বউ বাজার ও আশপাশ এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং ১টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ১০টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।