ঢাকাবুধবার , ৩১ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের বাইরে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না : বাজেট প্রস্তাব

সুশান্ত সিনহা
মে ৩১, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ । ৭০৪ জন

‘সিগারেটের প্যাকেটে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য থাকতে হইবে এবং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের অধিক মূল্যে কোন পর্যায়ে সিগারেট বিক্রয় করা যাইবে না।’ আজ ১ জুন থেকেই সিগারেট বিক্রির নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। বাজেটে প্রস্তাবে এই প্রস্তাব তুলে ধরবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এমআরপি বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ এবং এই দামে বিক্রি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্যতম একটি কাঠামোগত বড় ধরনের পরিবর্তন।

আগামী বাজেটে সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানো হচ্ছে। হলিউড, ডার্বিসহ নিম্নস্তরের ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে ৪০ টাকার এই স্তরের প্যাকেট প্রতি দাম হবে ৪৫ আর ২০ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে ৯০ টাকা। সাথে বাড়ানো হয়েছে ১ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। বাংলাদেশের সিগারেটের ৭৭ শতাংশ নিম্নস্তরের সিগারেট যেখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৫৮ শতাংশ। যদিও মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক রয়েছে ৬৫ শতাংশ। তাই জনস্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়াতে ওপরের তিন স্তরের মতো নিম্নস্তরেও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে আসছিল দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী ও সংগঠনগুলো। কিন্তু কর বাড়ানোর সেই আশা গুড়ে বালি দিয়ে এনবিআর শুধু দাম বাড়াচ্ছে।এতে সিগারেট কোম্পানিগুলোর মুনাফা আরও বাড়বে। কারণ কর না বাড়িয়ে দাম বাড়ালে সরকারের রাজস্ব যেমন বাড়বে তেমনি সিগারেট কোম্পানিগুলোর আয় বাড়বে।

কারণ সিগারেটের প্যাকেট প্রতি যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় তার মধ্যে নিম্নস্তরে মোট ৭৪ শতাংশ করভার রয়েছে। ২০ শলাকায় বা ৭ টাকা ৪০ পয়সা সরকার রাজস্ব হিসাবে পাবে। আর বাকী ২ টাকা ৬০ পয়সা পাবে সিগারেট কোম্পানি। কর বাড়ালে বা সুনির্দিষ্ট কর বসালো এই ১০ টাকা পুরোটাই সরকার রাজস্ব পেত। কোম্পানির বাড়তি মুনাফার সুযোগ থাকতো না।

একইভাবে স্টার, নেভি, ক্যামেলসহ মধ্যমস্তরের ২০ শলাকার সিগারেটের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে করা হবে ১৩৪ টাকা। গোল্ডলিফসহ উচ্চস্তরের ৪ টাকা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ২২৬ টাকা এবং বেনসন, মালবোরো অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের দাম ২০ শলাকার প্যাকেট প্রতি ১৬ টাকা করা হচ্ছে ৩০০ টাকা। যদিও বেনসন সিগারেট বর্তমানে বিক্রি করছে ৩০০ টাকায়। বাজেটের আগেই বর্ধিত দামে সিগারেট বিক্রি হলেও কানাকাড়ি রাজস্ব পাচ্ছে না এনবিআর।

তবে রহস্যজনকভাবে এবার বিড়ির দাম অপরিবর্তিত রেখেছে এনবিআর। তবে খানিকটা বাড়াবে জর্দা-গুলের দামও। জর্দার প্রতি দশ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে ৫৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। একইভাবে প্রতি দশ গ্রাম গুলের দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করে ৫৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।