বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের মধ্যে এবার ফিলিপিন্সে এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে সংক্রামক এই রোগ শনাক্ত হলো। ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ বছর বয়সি এমপক্স আক্রান্ত রোগী একজন পুরুষ। সাম্প্রতিক সময়ে ওই ব্যক্তির বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস নেই।
স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র আলবার্ট ডোমিঙ্গো বলেছেন, এমপক্সের কোন স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছে তা জানার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
বিশ্বে সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে এমপক্স নামের সংক্রামক রোগটি শনাক্ত করা হয়। সম্প্রতি ইউরোপ ও এশিয়াতেও এমপক্সে শনাক্ত রোগীর খবর আসছে। কঙ্গো ছাড়াও বুরুন্ডি, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, সুইডেন, কেনিয়া ও পাকিস্তানে এমপক্স রোগী আক্রান্তের খবর মিলেছে। এবার যোগ হলো ফিলিপিন্সের নাম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বর্তমানে সারা বিশ্বে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এর আগে, ২০২২ সালে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু দেশসহ প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। সেসময়েও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
চিকিৎসকদের মতে, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে বেড়ে যায় সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। বিশেষজ্ঞদের মত, আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাকের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সের নতুন স্ট্রেন আরও ভয়ংকর, যার প্রকোপে ঘটছে শিশুমৃত্যু এবং গর্ভপাতের মতো ঘটনা।