ঢাকারবিবার , ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

এসএমসির পথচলার ৫০ বছর পূর্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৬, ২০২৫ ৫:০৮ অপরাহ্ণ । ৮ জন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এসএমসি সাফল্যের সাথে ৫০ বছরের পথচলা পূর্ণ করেছে। এসএমসির পথচলার এই ৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তি, মিডিয়া ও জনস্বাস্থ্য ব্যক্তিত্ব এবং শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব যথাক্রমে মো. সাইদুর রহমান এবং মো. সারওয়ার বারী; এবং আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জেফ ফ্রেন্স।

এছাড়াও, সম্মানিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন এসএমসির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা, এসএমসি ও এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম, এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান এবং এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসএমসি বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সুদীর্ঘ ৫০ বছর সাফল্যের সাথে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই ৫০ বছরের শুভলগ্নে আমি এসএমসিকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন উদ্ভাবনী পণ্যের বিপণন ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গত পাঁচ দশকে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে। সব অংশীজনের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে বাংলাদেশ এখন পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দেশের আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারকারী এসএমসি ব্র্যান্ডের গর্ভনিরোধক পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। আশির দশকে ডায়রিয়া ছিল শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। এসএমসি ব্রান্ডের ওরস্যালাইন দেশজুড়ে সহজলভ্য করার ফলে ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে এসএমসি মা ও শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

এসএমসি ২০১৪ সালে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড নামে একটি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান গঠন করে। এই প্রতিষ্ঠানটির সফল কার্যক্রমের ফলে সমাজের নারী, শিশু ও পরিবারের সবার জন্য একটি টেকসই জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের সাথে সাথে এসএমসি বিভিন্ন ধরণের জনস্বাস্থ্য পণ্য বাজারজাত করছে। এগুলোর মধ্যে- ওরাল স্যালাইন, অনুপুষ্টি পাউডার, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক, কৃমিনাশক ট্যাবলেট, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বেবি ডায়াপার, ফর্টিফাইড বিস্কুট অন্যতম।