এসডিজি লক্ষ্যমাত্রায় ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন বাস্তবায়ন জোরদার’ এবং ‘২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগের কারণে মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনা’র নির্দেশনা রয়েছে। বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের যে উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে এ দুটো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজতর হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠন এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘এসডিজি বাস্তবায়নে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন। সম্মানিত আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো- ড. এস. এম. জুলফিকার আলী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব- মো. সাইদুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি বিষয়ক) মো. মনিরুল ইসলাম, এবং বিসিআইস এর সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন শাহীন উল আলম, হেড অব প্রোগ্রামস, উন্নয়ন সমন্বয়।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আতিউর বলেন যে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চুড়ান্ত হলে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের সাথে বহুলাংশে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। আর তাতে অধূমপায়িদের পরোক্ষ ধূমপান থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি আগামী প্রজন্মের নাগরিকদের তামাক ব্যবহারের সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমবে। সংশোধনীটি দ্রুত চুড়ান্ত করা হলে তা স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ কমাতে সহায়ক হবে এবং পুরো অর্থনীতিই তার সুফল ভোগ করবে বলে মন্তব্য করেন ড. জুলফিকার আলী।
মোস্তাফিজুর রহমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীতে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান বাতিলের যে বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে সেটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে, এই প্রস্তাবনা কার্যকর করা গেলে কিশোর-তরুণদের তামাকের বিষয়ে আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি কমে আসবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসডিজি বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণকে একটি গুরুত্বপূণ শর্ত হিসেবে উল্লেখ করে এ লক্ষ্যে আইন সংশোধনসহ বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মো. আখতার হোসেন।