ঢাকাশনিবার , ৩ জুন ২০২৩

ওড়িশায় দুর্ঘটনায় পড়ে থাকা ট্রেনে ফের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ২৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৩, ২০২৩ ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ । ২৮৯ জন

ওড়িশার বালাসোরে চেন্নাইগামী যাত্রীবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩৩ জন। এ ঘটনায় আহত আছেন আরও অন্তত ৯০০ জন। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েক।

রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১০-১২টি বগি বালেশ্বরের কাছে লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগিগুলো ছিটকে পড়ে উল্টো দিকের লাইনে। কিছু ক্ষণ পর উল্টো দিকের লাইন দিয়ে হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আসে। ট্রেনটি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ছিটকে পড়া বগির ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে এই ট্রেনটিরও ৩ থেকে ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

ওড়িশা রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন যে এখন পর্যন্ত ২৩৩টি মুতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘অ্যাক্সিডেন্টের পর আমি ১০ থেকে ১৫ জনের নিচে চাপা পড়ি। আমি ঐ মানুষের স্তুপে সবার নিচে ছিলাম। আমার হাতে আর ঘাড়ে আঘাত লাগে। আমি যখন ট্রেনের বগি থেকে বের হই, তখন দেখি কেউ হাত হারিয়েছে, কেউ পা হারিয়েছে, কারো আবার মুখ সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গিয়েছে।

রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ রূপি করে দেয়া হবে। এছাড়াও গুরুতর আহতদের জন্য দুই লাখ রুপি ও অপেক্ষাকৃত কম আহতদের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।

চেন্নাইগামী ট্রেনে ভেলরের সিএমসিসহ চেন্নাই এর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে অসংখ্য বাংলাদেশী ভ্রমণ করেন। এই দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে।

সেখানে উল্লেখ করা হয় যে সাধারণত বাংলাদেশিরা চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাওয়া আসা করতে করমোনডেল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশি কোনো নাগরিক দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে ছিল কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ রাখতে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশন রেল কর্তৃপক্ষ ও ওড়িশার রাজ্য সরকারের সাথে যোগাযোগ রাখছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এ বিষয়ে তথ্যের জন্য একটি হটলাইন নম্বরও চালু করেছে উপ-হাইকমিশন। হটলাইন নম্বর: +91 90 38 35 35 33 (হোয়াটসঅ্যাপ)