আগামীকাল মঙ্গলবার (৪জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে’জাতীয় চা দিবস’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার সম্মতি জানিয়েছেন। ‘স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প’- প্রতিপাদ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো ‘জাতীয় চা দিবস ‘ এবং দ্বিতীয়বারের মতো ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, এমপি।
সোমবার (৩ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম আরও বলেছেন,
‘চা শিল্পের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পরিকল্পনাতে চা শিল্প টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশে প্রায় ১.০৪ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চা তৈরিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন চা কোম্পানি/ব্যক্তিকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়া হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী চা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চা মেলা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা আছে। আজ বিকালে অনুষ্ঠানের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
এর আগে,পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ঘোষণা করেছে সরকার।ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু’র উপস্থিতিতে দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। তিনি বলেন, ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার টাকা। গতবারের তুলনায় খাসির কাঁচা চামড়ার দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেশি এবং বকরির চামড়ার দাম ৬ টাকা বেশি ধরা হয়েছে। এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল্য ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘এবছর প্রথমবারের মতো চামড়ার সর্বনিন্ম দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়ার বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থা চামড়া বিক্রয় কার্যক্রম তদারকি করবে।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন,জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ট্যানারী এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ, অতি.সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।