নিত্যপণ্যের অসহনীয় দাম থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ওষুধ, চিকিৎসাসামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে বিশেষ করে কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহার করা পণ্যের দাম কমতে পারে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যানুযায়ী, কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহার করা ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট — পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
স্পাইনাল নিডেল পণ্যটির সুনির্দিষ্ট কোনো এইচএস কোড না থাকায় আমদানি পর্যায়ে শুল্কায়নে জটিলতা দেখা যাচ্ছে। তাই পণ্যটির নতুন এইচএস কোড সৃষ্টি করে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স আগের চেয়ে কম শুল্কে আমদানির সুবিধা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আমদানি করা অ্যাম্বুলেন্সের ন্যূনতম দৈর্ঘ্য নির্ধারিত না থাকায় শুল্কায়নে জটিলতা দেখা যায়। তাই আমদানির ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের প্যাসেঞ্জার কেবিনের ন্যূনতম দৈর্ঘ্য নয় ফুট নির্ধারণ করে দেয়া যুক্তিযুক্ত। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এইচএস কোড-এর বর্ণনা পরিবর্তন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
বাজেটে রেয়াতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানির লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার প্রস্তাব করা হয়। চিকিৎসা খাতে বায়ো হাইজিনিক ইক্যুইপমেন্ট উৎপাদনে রেয়াতি সুবিধা দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে নতুন পণ্য সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অবশ্য রেফারেল হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক এক শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ ধার্য করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।