ঢাকারবিবার , ১০ মার্চ ২০২৪

খুলনায় রোজার আগে পেঁয়াজে সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১০, ২০২৪ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ । ৮২ জন

আর মাত্র ২ দিন পর থেকেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের আগেই বাজারে সুখবর বয়ে এনেছে পেঁয়াজ। দীর্ঘদিন ধরে শতক ছুঁয়ে থাকলেও গত ২-৩ দিন ধরে তা কমে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় অবস্থান করছে। সবজি বাজারেও তেমন একটা উত্তাপ নেই। তবে আলুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার (৯ মার্চ) নগরীর বড় বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার ও ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ঘুরে মিলেছে এমন তথ্য।

এদিকে রমজানে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছোলার দাম না বড়লেও খেজুর, কুল আর পেয়ারার দাম কিছুটা বেড়েছে। একইসঙ্গে গরুর মাংসের দামও কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নগরীর জোড়াকল বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা জুয়েল জানান, গত ২/৩ মাস ধরেই পেঁয়াজের বাজার অস্থির রয়েছে। কখনো একশতো কখনো ১১০ টাকায় পেঁয়াজ বেচাকেনা হয়েছে। কিন্তু বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসায় এখন ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। যারা ভ্যানে করে বিক্রি করছে তারা আরও একটু কম দামে বিক্রি করতে পারছে।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা রানা জানান, এখনও বাজার শীতের সবজিতে ভরপুর রয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপির দাম এখন ক্রেতার নাগালের মধ্যে। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। এছাড়া সীম ৩০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ইফতারের সময় বেশি প্রয়োজনীয় শশা, লেবু, গাজরের দাম একটু বেড়েছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী।

নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ী আলমাস বলেন, গত সপ্তাহেও আলুর দাম কম ছিল। সাড়ে তিন কেজি বিক্রি হয়েছে একশ টাকায়। কিন্তু এই সপ্তাহের শুরুতেই আলুর দাম একটু বেড়েছে। ফলে সাড়ে তিন কেজির স্থলে একশ টাকায় এখন তিন কেজির বেশি আলু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রমজান মাসে কমে যেতে পারে এই দাম।

বাজারের মাংস বিক্রেতা রেজাউল বলেন, গত ৩-৪ দিন ধরে বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শনিবার ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

নগরীর বড় বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে ছোলা ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিড়া ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খেজুর বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। ৩৫০ টাকার কমে কোনো খেজুর বাজারে নেই বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এই বাজারের ব্যবসায়ী মনির উদ্দিন। তিনি বলেন, চিনির দাম একটু কমতে পারে যদি টিসিবি চিনি দেয়। একইভাবে ছোলার দামও কমতে পারে।