শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল চলতি বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১২টার দিকে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বিমানমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি অংশ দ্রুত শেষ করার কাজ চলছে। চলতি বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে তৃতীয় টার্মিনাল চালু হবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনায় সক্ষমতা বাড়াতে এরই মধ্যে দ্বিতীয় রানওয়ে করার পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় রানওয়ে নির্মাণে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। বিমানবন্দরের আশপাশে ভবন হয়ে গেছে। তারপরও কীভাবে দ্বিতীয় রানওয়ে করা যায় তা নিয়ে ভাবছি।
লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অনেক আধুনিক জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এয়ারপোর্ট অনেক আধুনিক। উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও অনেক উন্নত। তবে সব বিমানবন্দরে লাগেজ হ্যান্ডেলিংস সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। যাত্রীরা ভাবে বিমান থেকে নামার পরপরই লাগেজ হাতে পাবে। এটা বিশ্বের কোনো দেশে হয় না। অন্তত ২০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ জাপানকে দিয়ে করাবো। তবে জাপান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেয়নি কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করবে।
যাত্রী চাহিদা বিবেচনার নতুন এয়ারক্রাফট কেনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এয়ারবাস এবং বোয়িং থেকে অফার করা হয়েছে। এটা নিয়ে মূল্যায়ন করার কাজ চলছে। যতো দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।