ঢাকামঙ্গলবার , ১ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩টি নদীর পানি বেড়ে কৃষকের ক্ষতি ৪৮ কোটি ১২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১, ২০২৪ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ । ৫১ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার তিনটি নদীর পানি বেড়ে ফসল নিমজ্জিত হওয়ায় কৃষকের ৪৮ কোটি ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাষকলাই চাষীরা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানাগেছে। ওই প্রতিবেদনটি ঢাকার খামারবাড়িস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ক্ষতি হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলার প্রধান তিনটি নদী পদ্মা, মহানন্দা ও পূনর্ভবার কোনটির পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর চর এবং নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় মাষকলাইসহ অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য ইতোমধ্যে পদ্মা ও মহানন্দা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পূনর্ভবা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যহত হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পানিতে নিমজ্জিত হয়ে জেলায় ১৯৩২ হেক্টর জমির মাষকলাই, ৯ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ৫ হেক্টর জমির রোপা আউশ, ৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন সবজি ও ৩ হেক্টর জমির চিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৬ হাজার ৮১০ জন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার মাষকলাই চাষীরা। জেলায় মোট ফসলের ২.৭৪ শতাংশ ফসল দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

মাষকলাইয়ে ক্ষতির আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এছাড়া জেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে ১ কোটি ৭৬ লাখ, সবজিতে ২৬ লাখ টাকা, রোপা আউশে ১০ লাখ ও চিনাতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ক্ষতির পরিমাণ ৪৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। সম্ভাব্য উৎপাদিত ফসলের সম্ভাব্য মূল্য হিসেবে আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সদর উপজেলার আলাতুলি, শাহজাহানপুর, বারোঘরিয়া, চরবাগডাঙ্গা, শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর, পাঁকা, ছত্রাজিতপুর, দুর্লভপুর, ঘোড়াপাখিয়া, মনাকষা, গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর, চৌডালা, রাধানগর, বোয়ালিয়া, বাঙ্গাবাড়ি ও আলীনগর ইউনিয়নকে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারের নিয়মিত প্রণোদনার আওতায় আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ আসলে সেগুলো কৃষকদের সময়মতো বুঝিয়ে দেয়া হবে।