২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হবে সোমবার (৭ অক্টোবর)। নোবেল কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। ওই দিন চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম ঘোষণা হয়। পরবর্তী ছয়দিন ছয়টি বিভাগে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছরও একইভাবে ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী আজ ঘোষণা করা হবে চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কারজয়ীর নাম।
চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কারগুলো সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সালে এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা করা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার প্রথম দিন করোনাভাইরাসের টিকার প্রযুক্তি আবিষ্কার করায় দুই বিজ্ঞানীকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। নোবেল বিজয়ী ওই দুই বিজ্ঞানী হলেন ক্যাটালিন ক্যারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান।
এমআরএনএ করোনার টিকার প্রযুক্তি করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর আগে পরীক্ষামূলক অবস্থায় ছিল। তবে এ টিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে। এখন ঠিক একই ধরনের এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসারসহ অন্য নানা রোগের টিকা আবিষ্কারের গবেষণার কাজে লাগানো হচ্ছে।
এবার চিকিৎসা ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতে পারে লিপিড নিয়ে উদ্ভাবনী কোনো গবেষক দলকে। বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্ল্যারিভেট ধারণা করছে, প্রথম দিন চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পেতে পারেন লিপিড বিপাকের জেনেটিকস নিয়ে গবেষণা করা কোনো বিজ্ঞানী বা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া মস্তিষ্কের আবেগ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও এ পুরস্কার দেওয়া হতে পারে।
এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের নাম এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, এ বছর চীনের লেখন ক্যান সুইকে বেছে নেবে সুইডিশ একাডেমি।
তবে সুইডেনের সংবাদপত্র ড্যাজেন নাইহেতারের সংস্কৃতি সম্পাদক বর্ন উইম্যান বলেন, এ বছর ইউরোপের বাইরে অন্য কোনো ভাষার কোনো নারী লেখক সাহিত্যে নোবেল পাবেন। এর আগে শেষ ২০১২ সালে চীনা লেখন মো ইয়ান সাহিত্যে নোবেল পান।
এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার উপন্যাসিক জেরাল্ড মারনানি, যুক্তরাজ্যের লেখক সালমান রুশদি, আর্জেন্টাইন–আমেরিকান লেখক জ্যামাইকা কিনকেইড, কানাডার কবি অ্যান কারসন, হাঙ্গেরির লাসলো ক্রাসনাহোরকাই, রোমানিয়ার মিরসিয়া কার্তারেস্কু, কেনিয়ার এনগুগি ওয়া থিওং’ও এবং জাপানের হারুকি মুরাকামির নামও আলোচনায় রয়েছে।