ঢাকাশনিবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৩

আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী

জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর নীতি গ্রহণের জন্য গবেষণালব্ধ জ্ঞান অমূল্য সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৪, ২০২৩ ৪:০৩ অপরাহ্ণ । ৩৯২ জন

বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষনার মাধমে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত কার্যকর নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর নীতি গ্রহণের জন্যও গবেষণালব্ধ জ্ঞান অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও মূল্যবান অবদান রাখে চলেছে। তাই বলা যায় আর্ক ফাউন্ডেশন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে সময়োপযোগী নীতি গ্রহণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারকে কার্যকরভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে। আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর ২০২৩) সকাল ১০টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।

বক্তব্যে মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে। আপনারা গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার লক্ষ্য-৩ অর্জনের পাশাপাশি রূপকল্প ২০৪১ অর্জনে সরকারি উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন।

এই পর্বের শুরুতে মাননীয় মন্ত্রী আর্ক ফাউন্ডেশনের নতুন লগো উন্মোচন করেন এবং কেক কেটে সংগঠনটির ১০ বছরপূর্তি উদযাপন করেন।

অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক বক্তব্যে আর্ক ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, গবেষণাভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্ক ফাউন্ডেশন প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে অর্থ ব্যবস্থাপনা, তামাক নিয়ন্ত্রণ, জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণে অ্যাডভোকেসি, জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ জনস্বাস্থ্য বিষয়ক নানা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরমাধ্যমে আমরা জনস্বাস্থ্য উন্নেয়নের ক্ষেত্রগুলিকেই চিহ্নিত করার পাশাপাশি যুগোপযোগী ও উদ্ধাবনী সমাধান প্রদানের চেষ্ঠা করেছি।

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্ক ফাউন্ডেশনের ১০ বছরের পথচলায় ভালোবাসা ও সহযোগিতার জন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং এই ভালোবাসা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডায়বেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএডিএএস) প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, আইসিডিডিআর’বি এর ইনফেকশন ডিজিজ বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফেরদৌসি কাদরি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম এনায়েত হুসাইন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আর্ক ফাউন্ডেশনের মতো গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যময় ভূমিকা রাখছে। আর সেজন্যই সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করছে। যেহেতু গবেষণা ইতিবাচক পরিবর্তনের অনুঘটক এবং কার্যকর ও উপযোগী নীতি গ্রহণের জন্য গবেষণালব্ধ জ্ঞানের অবষ্যকতা অনস্বীকার্য, তাই প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনায় সহযোগিতার বিষয়ে সরকারকে আরো মনোযোগী হতে হবে এবং গবেণার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করাতে হবে।

অনুষ্ঠানে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) মোকাবেলা শীর্ষক পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) সমন্বয়কারয় (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার। এ সেশনে আলোচক হিসেবে ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ননকমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. রোবেদ আমীন, সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম নোমান খান, ঢাকা ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেলথ পরামর্শক ড. রশিদ জামান ও জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির রিপ্রডাক্টিভ হেলথ ইপিডিমিওলজিস্ট ড. হালিদা হানুন আকতার।

পলিসি ডায়লগে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমাদুল কবির ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান খান।

অনুষ্ঠানে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।