ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

সেমিনারে বক্তারা

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৬, ২০২৪ ৯:২৩ অপরাহ্ণ । ১৭২ জন

বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ধূমপাযয়ীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠী টাকার বিনিমিয়ে রোগ ও মৃত্যু ক্রয় করছে। এই বয়সী ধূমপায়ীদের ধূমপানের পেছনে গড় মাসিক ব্যয় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ধূমপান ছেড়ে সেই টাকা সঞ্চয় করলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকারও অধিক সঞ্চয় হতো।

আজ ০৭ জুন (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ সকাল সাড়ে ১০টায় তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি : স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সঞ্চয় শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে একথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর ট্যোবাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

বিইআর এর সেমিনার কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য (মাগুরা-২) ড. শ্রী বীরেন শিকদার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য (সিরাজগঞ্জ-৩) অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইআর এর চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশ।

সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনটিটিপির অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাবেক সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিইআর এর প্রজেক্ট ম্যানেজার (তামাক কর) হামিদুল ইসলাম হিল্লোল।

মূল বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, শুধু তরুণরা তামাকের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করে তা দেশের বাৎসরিক বাজেটের ৭ শতাংশেরও অধিক। এই অর্থ জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. বীরেন শিকদার বলেন, দেশকে তামাক মুক্ত করতে হবে, এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। উচ্চ মূল্য তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকর পদ্ধতি। অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. মো. আব্দুল আজিজ বলেন, কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য মূল্য ও কর বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের একটি সমন্বিত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. এমএম আকাশ বলেন, তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তামাক থেকে যে রাজস্ব আয় হয় ক্ষতির পরিমাণ তার থেকে অনেক বেশি। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রাপ্তির যেকোন বিষয় অবশ্যই পরিত্যাজ্য। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। এর জন্য তামাকের উচ্চমূল্য ও অধিক হারে করারোপ আবস্যক।

সেমিনারে জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী, অর্থনীতিবিদ, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।