জলবায়ু অভিযোজন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রতি বছর ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয় করছে সরকার। তবে বাংলাদেশে অভিযোজন কার্যক্রমের জন্য বছরে ৯০০ কোটি ডলার বা ৯ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তাই অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার,এনজিও এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আজ (১ এপ্রিল ২০২৪) সোমবার পরিবেশমন্ত্রী রাজধানী ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়ন অফিস (FCDO) এর প্রকৃতি-ভিত্তিক অভিযোজন প্রতি সমৃদ্ধ ও দক্ষ জীবনধারা এবং জীবিকা বাংলাদেশ (NABAPALLAB) প্রকল্প উদ্বোধন করার সময় এ কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এবং পাখি ও মাছের প্রজননক্ষেত্র হাকালুকি হাওরের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষায় কাজ করা হবে। আয় বৃদ্ধির কৌশল এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি এই এলাকাগুলিতে চ্যালেঞ্জ কমাতে আশেপাশের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করা হবে। স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া, সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নীতকরণ এবং লবণসহনশীল ফসল এবং জলবায়ু-প্রতিরোধীর মতো সমাধানগুলি চালু করার ক্ষেত্রে জড়িত করার কথা জানান পরিবেশ মন্ত্রী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ডঃ ফাহমিদা খানম, কেয়ার এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক রমেশ সিং; প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং নবপল্লবের চিফ অব পার্টি সেলিনা শেলী খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থা প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় কর্মরত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।