জলবায়ু-সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারীর পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৃহত্তর স্থায়ীত্ব ও স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করতে পারি বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। গত (২৭ মার্চ ২০২৪) বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও উন্নয়ন সংস্থা বহ্নিশিখার যৌথ উদ্যোগে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের পরিবেশ রক্ষায় এবং জলবায়ু-সহনশীল সম্প্রদায় গড়ে তুলতে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন প্রচেষ্টায় তাদের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া অপরিহার্য। নারীর ক্ষমতায়ন জরুরি কারণ তারাই হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় পরিবর্তনের মূল এজেন্ট।
তিনি বলেন, নারীরা পরিবেশ সংরক্ষণ, অভিযোজন এবং প্রশমন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি বলেন, সরকার প্রভাব মূল্যায়ন করে জলবায়ু পদক্ষেপ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের অভিজ্ঞতা স্বাগত জানায়। সর্বাধিক প্রভাবের জন্য কৌশলগত ব্যয় অপরিহার্য। পানি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের অর্থ পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবুজ অর্থনীতি লিঙ্গ বৈষম্য কমিয়ে নারীদের অর্থনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ছয় দফা প্রস্তাবের মধ্যে দিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থায়ন বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলো যে অঙ্গীকার করেছে তা পালন করা জরুরি। তিনি ২০২৫ পরবর্তী নতুন জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণেও গুরুত্ব দিয়েছেন।’
ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ২৫টি মন্ত্রণলায় ও বিভাগ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় চলতি অর্থবছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশী ব্যয় করছে। সমাজ ও অর্থনীতিতে নারীদের অবদান তুলে ধরে তাদের কাজের ইতিবাচক মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টিতে সকলকে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে জলবায়ু এবং জেন্ডার সম্পর্কিত এসডিজি-র লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট লরেল ই মিলার ‘উইমেন্স ক্লাইমেট রেজিলেন্স এন্ড এ্যাডাপ্টেশন এ্যালায়েন্স’ কর্মসূচির সূচনা করেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নারীর অংশগ্রহণ, মিটিগেশন, এ্যাডাপ্টেশন এবং সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিষয়ে প্যানেলিস্টরা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।