ঢাকামঙ্গলবার , ৬ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডিএনসিসির সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে : মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৬, ২০২৩ ১২:০৭ অপরাহ্ণ । ৩৪১ জন

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

আজ মঙ্গলবার (০৬ জুন ২০২৩) রাজধানীর তেজগাঁওয় মেয়র আনিসুল হক সড়কে ডিএনসিসি এলাকায় দুই লাখ গাছ লাগানোর কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ আখতার হামিদ, গ্রিণ সেভার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনি, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি এলাকার সব রাস্তা ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে। কোন জায়গা খালি রাখতে চাই না। ফুটপাতে ছাতিম, বকুল, কাঠ বাদাম, কৃষ্ণ চূড়া, সোনালু, কাঁটা মেহেদী, রংগন, করবী ও বাগান বিলাস, বামন জারুল, রসকাউ লাগানো হবে। আর আমাদের খালের পাশে বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ, আম, জাম, কাঁঠাল ও ঔষধি গাছ লাগাবো। নগরে কোন পাখি নাই। আমরা বন বিভাগের সাথে আলাপ আলোচনা করে রসকাউ লাগাচ্ছি। রসকাউ ফলটা পাখিদের জন্য খুবই প্রিয়। ক্লিনিং, গ্রিনিং ও ফিডিং এই তিনটিকে বিবেচনায় নিয়ে গাছ লাগানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবুজে বাস, বারো মাস এই স্লোগানের মাধ্যমে আমারা আজকে বৃক্ষরোপণ শুরু করলাম। আমি নগরবাসীকে আহবান করছি যার যার বাড়ির সামনে ফাকা জায়গায় গাছ লাগাবেন। আমি রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ‘প্রতিটি বাড়িতে এক কাঠায় অন্তত একটি গাছ’ এটি যেন রাজউক অবিলম্বে বাস্তবায়ন করে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা ফুটপাতে পাঞ্চ করে ছাতিম গাছ লাগাবো ছায়া দিবে, বকুল গাছ লাগাবো ফুলের গন্ধ দিবে, কাঠবাদাম গাছ এবং যেখানে বেশি জায়গা পাবো সেখানে আমরা কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগাবো। গাছগুলো দেখাশোনার জন্য আমাদের পরিবেশ বিভাগকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। আমাদের আগামী বাজেটে বৃক্ষরোপণের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘গাছের বিষয়ে আমার ক্লিয়ার ম্যাসেজ। আমি বার বার বলেছি গাছ কাটলে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সড়কের বিদ্যমান গাছগুলো না কেটেই উন্নয়ন কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। আমি জানতে পেরেছি মিরপুরস্থ টেকনিক্যাল ক্রসিংয়ে সড়ক বিভাজক নির্মাণকালে অসাধু ঠিকাদার কয়েকটি গাছ কেটে ফেলেছে। যেহেতু ঠিকাদার সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশনা অমান্য করে গাছ কেটেছে তাই তাকে ডিএনসিসিতে কালোতালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট দুজন প্রকৌশলীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ সব ঠিকাদার ও বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য একটি কঠোর বার্তা। গাছ কেটে কোন উন্নয়ন নয়।’

অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ঢাকা সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক আর এস এম মনিরুল ইসলাম, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক, মঈনুদ্দিন খান ও বন বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।