ঢাকারবিবার , ১৩ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

ডেঙ্গ প্রতিরোধে গুলশানে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে ডিএনসিসি মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৩, ২০২৩ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ । ১৯১ জন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের গৃহীত সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের পাশাপাশি জনগণকেও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।

রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানে স্প্রিংডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানকালে এই আহবান জানান।

শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র স্কুলটির শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন। পরে তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা করেন।

মেয়র বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে আমি পুরো ডিএনসিসি এলাকায় যাচ্ছি। আমরা কেউ বসে নেই। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করছে। লার্ভা পেলে জরিমানা করা হচ্ছে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার ইমাম, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে সভা করছেন। সিটি কর্পোরেশন দায়িত্ব পালন অবশ্যই করবে, করে যাচ্ছে। কিন্তু জনগণকেও যার যার যায়গা থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। জনগণকেও নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। সবাই ক্যাম্পেইনে যোগ দিন।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সবাই ফেসবুক ব্যবহার করি। সবাইকে অনুরোধ করছি ফেসবুকে শেয়ার করুন কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। সবাই মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের মাঝে সচেতনতা বার্তা ছড়িয়ে দিন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিষ্কার রাখতে হবে। আমরা ছোটবেলায় সপ্তাহে একদিন সবাই মিলে স্কুল কলেজের আঙিনা পরিষ্কার করতাম। প্রতিটি স্কুল, কলেজ নিজদের আঙিনার পাশাপাশি আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিতে পারে৷’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে গেলে কিন্তু আমরা নিজের কাজ নিজে করি। দেশেও আমাদের নিজেদের আঙিনা নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে লজ্জার কিছু নেই। সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরো বাড়ি পরিষ্কার করলে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারবো। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আর একটিও মৃত্যু যেন না হয় সেজন্য সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের আহবান করে মেয়র বলেন, ‘মশার কামড় থেকে বাঁচতে তোমরা ফুল হাতা জামা পরবা, মশারির ভিতরে ঘুমাবা। বাবা, মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, নানা-নানি সহ আত্মীয় স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীদের জানাবে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। বাসাবাড়ি, বাড়ান্দা, ছাদ সবজায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’

এসময় শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দেওয়ার ও প্রতি শনিবার সকালে দশটায় দশ মিনিট বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করার অঙ্গিকার করে।

এসময় মশক কর্মীদের জবাবদিহিতা বাড়াতে বডি ক্যাম লাগানো হবে বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে তাদের নিয়ে স্কুলের আঙিনা ও স্কুলের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী ফুটপাত পরিষ্কার করেন।

সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেঃ জেনাঃ এ.কে.এম শফিকুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইমদাদুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জুলকার নায়ন, ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান প্রমুখ।