ঢাকাসোমবার , ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাকায় যানজটের জন্য অবৈধ যানবাহন-সড়কের কর্মসূচি দায়ী : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২১, ২০২৪ ৫:৪৮ অপরাহ্ণ । ১৪ জন

ঢাকা মহানগরীতে অবৈধ যানবাহন ও মাঝে মাঝে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সড়কে কর্মসূচি থাকার কারণে যানজট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, সড়কে জনগণের জন্য সরকারি ও আরামদায়ক যানবাহন দেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি একই সড়কে রিকশা ঠেলাগাড়ীসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করে। মানুষ তার প্রয়োজনে এসব যানবাহনের দারস্ত হচ্ছেন। ফলে ঢাকায় সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা কঠিনতর হচ্ছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মাঝে মাঝে বিভিন্ন দাবি দাওয়ার কারণেও সড়কের শৃঙ্খলা ভেঙে যাচ্ছে। বৈধ ও অবৈধ যানবাহনের কারণে যানজট দিনদিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আপনারা জানেন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ সরকারের পর সারাদেশে ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। জনগণের কথা বিবেচনা করে ছাত্র জনতা সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার আসার পর পুলিশ ও সুশীল সমাজের পরামর্শে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ট্রাফিক বিভাগ বেআইনি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যদের চেষ্টা সত্ত্বেও ট্রাফিক ব্যবস্থার আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি। ট্রাফিক সিগনালগুলো সক্রিয় করার জন্য একটি গবেষক দল কাজ করছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে সেগুলো চালু হবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে যুক্ত করে সরকার এটা নিয়ে কাজ করছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যেমন চালক ও ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে জনগণেরও কিছু দায়িত্ব আছে। শুধু সরকার ও পুলিশের মাধ্যমে যানজট নিরসন সম্ভব নয়, এজন্য নগরবাসীর সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি জানান, যানজট নিরসনে আগামীকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে ৩০০ ছাত্রছাত্রী কাজ শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সংখ্যাটি আরও বাড়বে।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল হাফিজ, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।