গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে ঢাকায় কর্মরত গাজীপুর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ গাজীপুর সাংবাদিক ফোরাম এই সভার আয়োজন করে।
সব ট্রেন জয়দেব স্টেশনে না থামার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ যাত্রী না থাকায় সব ট্রেন থামানো যায় না। অর্থাৎ ন্যূনতম পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয় না। এতে স্বাভাবিকভাবে লোকসান বেশি হয়। তারপরও ডিও লেটারসহ রেলমন্ত্রীকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
গাজীপুরের পরিবেশকে সরকার বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে জানিয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, নদী-নালা বিলগুলো দেশীয় মাছ চাষের সুযোগ হারাচ্ছে। জলাশয় ভরাট হয়ে জীববৈচিত্র্যের আবহমানকাল সরল-সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। যার পেছনে সমাজের সব মহলের মানুষ জড়িত। এজন্য সামাজিক আন্দোলন জরুরি।
টানা তিনবারের এই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সবখানেই বাতির নিচে অন্ধকার থাকে। স্বাভাবিকভাবেই গাজীপুরও তার ব্যতিক্রম নয়। গাজীপুর থেকে প্রদেয় রাজস্বের তুলনায় উন্নয়ন কম। এটা আমি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ফোরামে বলেছি। শিক্ষাঙ্গন ও কৃষিজ খাত সবই কিন্তু গাজীপুর কেন্দ্রিক। গাজীপুর রয়েছে অনেক জাতীয় প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও অগণিত শিল্প কারখানা। কিন্তু ভালো সড়ক নেই।
বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে অসুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা কতটা গাজীপুরবাসীর জন্য সুফল বয়ে আনবে তা সময়ই বলে দেবে। আমরা চাই দুর্ভোগ লাঘব হোক। এটা সবার জন্য আশীর্বাদ হবে সেটাই প্রত্যাশা। সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।
গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসনের এই এমপি বলেন, গাজীপুরে যানজটের বড় কারণ চিহ্নিত করতে হবে। রিকশা ঠেলাগাড়ি একটা কারণ। কিন্তু এগুলো বাদও দেওয়া যাবে না। কারণ এগুলোর ব্যবহার অনেক। তাই এই বাহনগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট একটি রাস্তা থাকা দরকার। এটি নিয়ে পরিকল্পনাবীদসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে।
ফোরামের সভাপতি জিএম ফয়সাল আলম, সেক্রেটারি রাশেদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ আলম, অর্থ সম্পাদক আবু ফয়সাল, দপ্তর সম্পাদক এস এম নূর মোহাম্মদ এবং সদস্য সাইফুল ইসলাম শুভ, মাহমুদুল হাসান ও ফজলুল হক মৃধা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য মো.আতাউর রহমান, মঞ্জুর বারী ও আল মামুন।