বেনাপোল-ঢাকা রুটের চলমান ট্রেনটিকে দিনে দুবার চালানোর ভাবনা চলছে, সময়সূচি মিলিয়ে দেখা হবে। আগামী মার্চ মাস নাগাদ নতুন বগি আসলে একাধিক রেল চলবে বলে জানান। দর্শনা-যশোর-ঢাকা রুটের ট্রেনের বিষয়টিও তিনি বিবেচনায় নেবেন বলে জানান রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির। এবং ফুল সবজি বহনের বগিও দিতে চান বলে জানান তিনি।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে যশোরের রেল ভবনে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় তিনি যশোর জংশন থেকে পদ্মা রেলসেতু হয়ে চারটিসহ ঢাকায় ৫টি ট্রেন চলাচল নিয়ে যশোরবাসীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া শুনেন।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ জানান, রেল সচিবের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি সংগ্রাম কমিটির কথা মনোযোগের সঙ্গে শোনেন ও দাবির যৌক্তিকতার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন।
রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, বেনাপোল-ঢাকা রুটের চলমান ট্রেনটিকে দিনে দুবার চালানোর ভাবনা চলছে, সময়সূচি মিলিয়ে দেখা হবে। আগামী মার্চ মাস নাগাদ নতুন বগি আসলে একাধিক রেল চলবে বলে জানান। দর্শনা-যশোর-ঢাকা রুটের ট্রেনের বিষয়টিও তিনি বিবেচনায় নেবেন বলে জানান। ফুল সবজি বহনের বগিও দিতে চান।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির পক্ষে আলোচনায় অংশ নেন কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, অন্যতম নেতা হারুন অর রশিদ, ঢাকাস্থ যশোর সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, বৃহত্তর যশোর সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে যশোর জংশন থেকে পদ্মা রেলসেতু হয়ে চারটিসহ ঢাকায় ৫টি ট্রেন যাতায়াতের দাবিতে আন্দোলনে নামে যশোরবাসী। দাবিগুলো হলো, বেনাপোল থেকে ঢাকায় দুটি ট্রেন, দর্শনা থেকে যশোর হয়ে ঢাকায় দুটি ট্রেন এবং খুলনা থেকে যশোর ঈশ্বরদী যমুনা সেতু হয়ে অন্তত একটি ট্রেন বহাল রাখতে হবে। ঢাকায় অফিস ধরার মতো সময়ে যশোর জংশন থেকে ট্রেন দিতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ বগি এবং ফুল, মাছ ও সবজিবাহী বগি (ভেন্ডার) যোগ করতে হবে। ট্রেনের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নামাতে হবে। নিবন্ধনের বাইরেও টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিট প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার হবে। জরুরি ভিত্তিতে দর্শনা থেকে খুলনা পর্যন্ত ডাবল লাইন স্থাপন করতে হবে।
এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এদিন রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে বৈঠক করেন।