ঢাকাবুধবার , ১৫ মে ২০২৪
  • অন্যান্য

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা

তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি করার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৫, ২০২৪ ৪:৩২ অপরাহ্ণ । ৩৭৬ জন

তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ননের জন্য ক্ষতিকারক। এটি বিপুল পরিমাণ মানুষের অকাল মৃত্যু এবং ভয়ংকর সব রোগে ভোগার কারণ। তামাক নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হলো মূল্য ও কর বাড়িয়ে এটিকে মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে নেওয়া।  তাই আসন্ন বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার উল্লেখযোগ্য পরিমানে বৃদ্ধি করতে হবে।

আজ বুধবার (১৫ মে ২০২৪) সকাল ১০টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।  বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে।

বাটার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ও প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রহমান, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রামস সৈয়দা অনন্যা রহমান, ঢাকা আহসানিয়া মিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অদুদ রহমান ইমন, মানসের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার আবু রায়হান, ডাস এর সিনিয়ার প্রজেক্ট অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বক্তব্য দেন।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনটিটিপির প্রজেক্ট অফিসার ইব্রাহীম খলিল।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানির মূল লক্ষ্য থাকে কিশোর ও তরুণদের হাতে প্রাণঘাতি তামাক পণ্য তুলে দেয়া। কারণ অল্প বয়সে কেউ তামাক সেবন শুরু করলে দীর্ঘদিন সে তা চালিয়ে যায়। কিশোর ও তরুণদের তামাকে আসক্ত করতে তামাক কোম্পানি নানা অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। এজন্যই তারা কার্যকর কর নীতি ও প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। কর বৃদ্ধি রোধে তারা সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে অবৈধ হস্তক্ষেপ করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কর প্রস্তাবকে বাস্তবায়ন করতে না দিয়ে ব্যবসা ও মুনাফা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখা।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতি বছর মুল্য স্ফিতি ও মানুষের ক্রয় সামর্থ বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি করা আবশ্যক। তামাকজাত দ্রব্যের উচ্চ মূল্য এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যহারে কমিয়ে আনে। স্বল্প আয়ের মানুষ এবং কিশোর ও তরুণদের মধ্যে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। উচ্চ মূল্য কিশোর ও তরুণদের তামাকের ব্যবহার শুরু করতে নিরুৎসাহিত করে।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্যে উচ্চ হারে করারোপ ও উচ্চ মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি তামাক কোম্পানি যাতে প্যাকেটে লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে কারণ এরসমাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিবছর প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়। রাজস্ব ফাঁকি দিতে তারা আরো নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকে। তাদের এসব অপকৌশল নিয়মিত নজরদারি এবং আইন ভঙ্গকারী তামাক কোম্পানিকে কঠোর শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তামাক কর বিশেষজ্ঞ, তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।