ঢাকাবুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তামাকপণ্যে করারোপের দাবি জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ২৫ এমপির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ । ১৮৫ জন

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সব তামাকজাত পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের কাছে ২৫ জন সংসদ সদস্য সুপারিশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত অফিসিয়াল সুপারিশপত্র (ডিও লেটার) প্রদান করেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

চিঠিতে বলা হয়, তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে তামাকপণ্যের ব্যবহার হ্রাস আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত একটি পদ্ধতি। কিন্তু দেশের বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ অর্জনে আশানুরূপ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তামাক ব্যবহারের কারণে দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির (চিকিৎসা ব্যয় এবং উৎপাদনশীলতা হারানো) পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

এমতাবস্থায়, তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার নিমিত্তে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবর সুপারিশ করেছেন ২৫ জন সংসদ সদস্য। এ বিষয়ে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ প্রতিমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করা হয়।

সুপারিশপত্রে যাদের স্বাক্ষর আছে, তাদের মধ্যে অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, ফেরদৌস আহমেদ, বিপ্লব হাসান, ডা. মো. হামিদুল হক খন্দকার, ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ডা. আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক, আরমা দত্ত, রুনু রেজা, ফরিদা আক্তার বানু, দ্রৌপদী দেবী আগারওয়াল, কানন আরা বেগম, মোসা. ফারজানা সুমি, সাবেরা বেগম, পারুল আক্তার, কোহেলী কুদ্দুস, অনিমা মুক্তি গোমেজ, জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, দিলোয়ারা ইউসুফ, শামীমা হারুন, রুমা চক্রবর্তী, খালেদা বাহার বিউটি, নাদিয়া বিনতে আমিন, নাজনীন নাহার রশীদ এবং ঝর্ণা হাসান।

২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতায় যে চিকিৎসার ব্যয় হয়েছে তা তামাক খাত থেকে আসা রাজস্বের চেয়ে অন্তত ৩৪ শতাংশ বেশি। ঐ বছর তামাক ব্যবহারজনিত কারণে ১ লক্ষ ৬১ মানুষ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এই বিপুল মৃত্যু, আর্থিক এবং স্বাস্থ্যগত ক্ষতি চাইলেই এড়ানো সম্ভব। এর জন্য চাই তামাকবিরোধী শক্তিশালী আইন ও তামাকজাতপণ্যের ওপর কার্যকর করারোপ। তাই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করুন।

উল্লেখ্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করে।