ঢাকারবিবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

তামাক কোম্পানির কূটচাল রুখে দাও-তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাচাঁও

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ১:১০ অপরাহ্ণ । ৭৭ জন

তামাক কোম্পানি গুলোর মূল টার্গেট শিশু, কিশোর ছাড়াও যুব সমাজকে তামাক ও ধূমপানে আসক্ত করার পাশপাশি ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এক জরিপের দেখা যায় শতকরা ৯০.৬ ভাগ স্কুল ও খেলার মাঠের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। আবার শতকরা ৬৪.১৯ ভাগ দোকানে ক্যান্ডি, চকলেট এবং খেলনার পাশে তামাকজাত দ্রব্য রেখে বিক্রি করতে দেখা যায়। শতকরা ৮২.১৭ ভাগ দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন এবং শিশুদের দৃষ্টি সীমানার মধ্যে শতকরা ৮১.৮৭ ভাগ দোকানে অমাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন হয় বলে ঐ জরিপে উঠে আসে। তামাক কোম্পানি গুলো সুকৌশলে তামাক শিশু ও যুবকদের সামনে তুলে ধরে। এর মূল কারণ তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটানো। তাই এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিপাদ্য বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য বাস্তব সম্মত।

তামাক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর, একথা সর্বজনস্বীকৃত। সব ধরনের তামাকই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গবেষণায় দেখা যায়, সিগারেটে ৭০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে। যা ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ (যেমন: হাঁপানি, এজমা, সিওপিডি) সহ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের জন্য সরাসরি দায়ী। এছাড়া বিড়ি, হুক্কা এবং ধোঁয়াবিহীন বিভিন্ন তামাকপণ্য (যেমন: জর্দা, গুল, সাদাপাতা, ইত্যাদি) সমানভাবে জনস্বাস্থ্যের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে।

সরাসরি তামাক আসক্তির কারণে পৃথিবীতে বছরে ৮০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ধূমপান না করেও বাসা বা কর্মস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ১২ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। তামাকজনিত কারণে এসব অকালমৃত্যুর ৮০ভাগই বাংলাদেশসহ পৃথিবীর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ঘটছে। কারণ, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তামাক কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ বাড়িয়ে এর তরুণ জনগোষ্ঠিকে ভোক্তা করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। Global Youth Tobacco Survey তে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী উঠতি বয়সী (১৩-১৫ বছর বয়সী) ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অন্তত ৪.৩ কোটি (১.৪ কোটি মেয়ে এবং ২.৯ কোটি ছেলে) তামাক ব্যবহার করে।

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি তামাক সেবনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। Tobacco Atlas-2018 অনুযায়ী, বাংলাদেশে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে অকালে মৃত্যুবরণ করে। Global Adult Tobacco Survey 2017 এর তথ্যানুসারে, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদুর্ধ বয়সীদের ৩ কোটি ৭৮ লাখ (৩৫.৩%) মানুষ নানান উপায়ে তামাক ব্যবহার করে। এর মধ্যে ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ বা ১৮% জনগোষ্ঠী ধূমপান করে। ফলে, সরাসরি ধূমপায়ী/তামাকসেবীর চাইতেও বেশি মানুষ বাসা, কর্মস্থল, গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানে মারাত্বক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে যার সংখ্যা ৪ কোটি! আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ২০১৭-১৮ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, তামাকজনিত রোগ-ব্যাধি, এর চিকিৎসা ব্যয় ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কারণে বাংলাদেশের বাৎসরিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা! যা জিডিপি’র ১.৪%। এতে আরও দেখা যায়, সরকার তামাক খাত থেকে যত টাকা রাজস্ব আয় করে তামাক ব্যবহারজনিত রোগব্যাধির চিকিৎসা ও অন্যায় ব্যয় তার চাইতে ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি।

দু:খজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে অনেক পথ অগ্রসরতার পরেও তামাকজনিত এসকল ক্ষয়-ক্ষতিকে ছাপিয়ে তামাক কোম্পানি প্রদত্ত রাজস্বকে বড় করে দেখার প্রবণতা খোদ সরকারের নীতি নির্ধারণী মহলেই লক্ষ্য করা যায়। এমনকি, সাধারণ মানুষের মগজেও এটি গেঁথে গেছে যে, ‘তামাক কোম্পানির টাকায় দেশের রাষ্ট্রীয় কোষাগার পরিপূর্ণ হয়।’ আসল বিষয় হলো, তামাক কোম্পানি প্রদত্ত রাজস্বের ৮০ ভাগের বেশি জনগণের দেয়া ভ্যাট, ট্যাক্স। এসব অর্থের সাথে কোম্পানির সামান্য কিছু মুনাফার অংশ যুক্ত করে পুরোটাই নিজেরদের প্রদত্ত ট্যাক্স বলে চালিয়ে দিয়ে আসছে।

তামাক কোম্পানিতে সরকারের প্রায় ১০% শেয়ার ও বিএটিবি’র পরিচালনা পর্ষদে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ৬জন কর্মকর্তা থাকার সুযোগে সহজেই ধূর্ত তামাক কোম্পানি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আইন ও নীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ চালায়। নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অনেক আমলাকেও তামাক কোম্পানির তাবেদারী করতে দেখা গেছে যা সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে আমরা প্রতক্ষ্য করেছি। এফসিটিসিতে স্বাক্ষরের প্রায় ১৭ বছর অতিক্রম হলেও এর বাস্তবায়নে দেশে কোন ‘গাইডলাইন’ কিংবা সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ প্রণীত হয়নি। যদিও এর খসড়া তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এনটিসিসিতে দেয়া হয় ২০১৬ সালে। এ সুযোগের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমেই তামাক কোম্পানিগুলো তাদের কূট-কৌশলের জাল বিস্তৃত করছে। এ ফাঁদের প্রধান শিকার আমাদের তরুণ প্রজন্ম!

তামাক কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণের কৌশল এবং মূল টার্গেট তরুণ জনগোষ্ঠি:

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠির ৪৯% বয়সে তরুণ। তামাক কোম্পানিগুলো দীর্ঘমেয়াদে ভোক্তা তৈরীতে তরুণ প্রজন্মকেই টার্গেট করে বিভিন্ন উপায়ে আইন বহি:র্ভূত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তামাকের নেশায় ধাবিত করছে। মূলত, তামাক কোম্পানিগুলোর লালসা হলো তরুণরা তামাক আসক্ত হলে দীর্ঘদিন তামাকপণ্য সেবন করে যায়, এ ভোক্তা আমৃত্যু মুনাফা দিয়ে যায় তামাক কোম্পানিকে। তামাক পণ্যের ভোক্তা বাড়াতে তামাক কোম্পানিগুলো নানান কৌশল অবলম্বন করে থাকে তন্মধ্যে অন্যতম হলো;

বিজ্ঞাপন: মানুষকে তামাকের নেশায় ধাবিত করতে তামাক কোম্পানিগুলোর অন্যতম বড় কৌশল হচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনা। তামাক কোম্পানিগুলো খুচরা তামাক বিক্রেতাদেরকে বিভিন্ন প্রণোদনা, উপহার সামগ্রী প্রদানের মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্রগুলোকে (Point of Sale) তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন ও প্রচারণার মূল কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করছে। এছাড়া তামাক সেবীদেরকে ফ্রি সিগারেট, আকর্ষণীয় লাইটার, সিগারেটের স্লিম প্যাক, মানিব্যাগ, পিঠের ব্যাগ, কোম্পানির নাম-লোগো ও নির্দিষ্ট ব্রান্ডের রং সম্বলিত টি-শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী প্রদান করে। তামাকজাত দ্রব্যের ব্রান্ড প্রমোশনে কলেজ-ভার্সিটি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বড় বড় হোটেল-রেস্তোরায় মোটিভেশনাল স্পীকার ও জনপ্রিয় তারকাদের যুক্ত করে ইভেন্ট আয়োজন করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে-পাশে তামাক পণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন তাদের কৌশলের অংশ।

নাটক-সিনেমার মাধ্যমে প্রচার: নাটক ও সিনেমার প্রতি তরুণদের বাড়তি আকর্ষণ থাকে। এ সুযোগে তামাক কোম্পানিগুলো কৌশলে জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীদের মাধ্যমে নাটক-সিনেমায় অপ্রয়োজনে অসংখ্যবার ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন করিয়ে থাকে। এজন্য তারা নাটক, সিনেমায় পৃষ্ঠপোষকতা ও বিনিয়োগ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম: ২০১৮ সালের এক গবেষনায় দেখা যায়, বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ৮০ লাখ যার মধ্যে ৮০% তরুণদের দখলে। তামাক কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের ব্রান্ড প্রমোশনে ছদ্মবেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে তরুণদেরকে প্রলুব্ধ করতে সহজেই তাদের কাছে পৌছে থাকে। তামাক বিক্রয়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেস, ইলেকট্রনিক ওয়েবপেজ, ফেসবুক পেজ থেকেও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যায়।

ব্যাটেল অব মাইন্ড/এক্সসিড: তামাক কোম্পানির প্রতারণামূলক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম “ব্যাটল অব মাইন্ড”। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে তামাকজাত দ্রব্যের প্রত্যক্ষ প্রচার-প্রচারণা, বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে চাকুরী প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে “ব্যাটল অব মাইন্ড” নামক কর্মসূচি পরিচালনা করছে ‘ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি’। সরকারী নির্দেশনার পরে নাম পরিবর্তন করে যা বর্তমানে ‘‘এক্সসিড” নামে পরিচালিত হচ্ছে। বিগত দিনের তথ্যে দেখা যায়, হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে বিএটিবিতে স্থায়ীভাবে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আড়ালে তামাক কোম্পানির ইমেজ গড়ে তোলার অপচেষ্টা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান আয়োজন, স্পন্সরশীপ প্রদানের আড়ালে মূলত তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণাই তাদের মূখ্য উদ্দেশ্য। আর এ কাজে তরুণদের অন্তর্ভূক্ত করা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারনের অন্যতম বড় কৌশল ও সফলতা।

ই-সিগারেট ও নিকোটিন ফ্লেভার: কোনধরনের তামাকই ঝুঁকিমুক্ত নয়। অথচ, গবেষণায় ই-সিগারেট স্বাস্থ্যহানিকর প্রমাণিত হওয়া স্বত্ত্বেও তামাক কোম্পানিগুলো মিথ্যাচার করছে এবং দেশে কিশোর ও তরুণদের মাঝে এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে ই-সিগারেটের বাজার প্রসার করছে। তামাক কোম্পানিগুলোর মিথ্যাচরের ফলে দেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে ই-সিাগরেটের ব্যবহার বাড়ছে। এছাড়া নিকোটিনযুক্ত চকলেট, চুইংগামসহ বিভিন্ন পণ্যেও মাধমে তরুণদের নিকোটিন সেবনে উদ্বুদ্ধ করছে। ব্যাপকভাবে বিস্তৃতি লাভ করার আগেই এগুলো নিষিদ্ধ করার দাবী জানিয়ে আসছে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো। তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিক বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ আমাদের পাশ^বর্তী দেশ ভারত ইতোমধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে এবং আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে এটি বন্ধের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে তরুণদের করণীয়:

তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে দেশে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার প্রত্যয় দৃঢ় ব্যক্ত করেছেন। এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে সরকার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও তামাক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভূক্ত করেছে। তবু দেখা যায়, তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে গতিশীলতা কম।

ধূমপান ও তামাক সেবন হচ্ছে মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। ধূমপানের মাধ্যমে নেশার জগতে প্রবেশ করে তরুণদের অনেকে মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা সংকট তৈরি করছে। এজন্য তরুণদের নেশা থেকে দূরে রাখতে ধূমপান থেকে বিরত রাখা জরুরি। তামাক কোম্পানি যেহেতু কিশোর-তরুণদের নেশার দিকে ধাবিত করে, এজন্য তামাক কোম্পানিকে কূটচাল প্রতিহত করতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। যেমন;

১. কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলোর মাধ্যমে তামাক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা;
২. তামাক কোম্পানির আইন বহির্ভূত কাজ পর্যবেক্ষণ ও আইন বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা;
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তামাক কোম্পানির যে কোন অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ করা;
৪. সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমগুলোতে তামাক বিরোধী প্রচারণা বৃদ্ধি;
৫. তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে নিজ পরিবারের সদস্য ও আত্নীয়-স্বজনদের সাথে (তামাক সেবী যদি থাকে) সতর্ক করা;
৬. তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর সচেতনতামূলক কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন

সুনাগরিক ও সু-স্বাস্থ্যের সাথে বেড়ে উঠতে তরুণদের সকল প্রকার ক্ষতিকারক নেশা থেকে দুরে রাখতে তামাক কোম্পানির কূটকৌশল বন্ধ করাসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও নীতির সঠিক বাস্তবায়নই হোক বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রত্যয়।