ঢাকাশনিবার , ৩ আগস্ট ২০২৪
  • অন্যান্য

তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ৩, ২০২৪ ১:৪১ অপরাহ্ণ । ৯৮ জন

তামাক ব্যবহার বা ধূমপান অত্যান্ত ক্ষতিকারক, যা কার্যত মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দেহের প্রতিটি অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধূমপানে বিষপান, সবারই জানা। তবু বহু মানুষ ধূমপান করে। বাইরে থেকে দেখলে যদিও বোঝা যায় না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ধূমপানে নিঃশেষ হতে পারে প্রতিটি অঙ্গ। বিশ্বজুড়ে বহু মৃত্যু ও রোগের কারণ হলো তামাক, যা চাইলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এটি মানুষকে বয়সের আগেই মৃত্যুর দিকে টেনে নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ সরাসরি তামাক সেবনে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশের বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য বিশেষ করে বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, সাদা পাতায় আসক্ত এবং তামাকের কারণে বছরে প্রাণহানি ঘটে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞান, নীতি এবং অনুশীলনের একটি ক্ষেত্র যা তামাকের ব্যবহারকে মোকাবেলা করার জন্য নিবেদিত এবং এর ফলে এটির কারণে অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার হ্রাস করে। যেহেতু বেশিরভাগ সিগারেট এবং সিগারেট এবং হুক্কায় তামাক থাকে/ব্যবহার করে, তাই তামাক নিয়ন্ত্রণও এগুলিকে উদ্বিগ্ন করে।

তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য: তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগ করা, তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো, তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা, পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনগণকে রক্ষা এবং সর্বোপরি এদেশের জনগণকে তামাকের অভিশাপ থেকে রক্ষা করা।

তামাক নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য:
১. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সমগ্র বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
২. তামাক নিয়ন্ত্রণে স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ করে এদেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনা;
৩. তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন জাতীয়/আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে জোরালো অংশীদারিত্ব স্থাপন;
৪. তামাকের ব্যবহার, চাষ এবং উৎপাদন হ্রাস;
৫. তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বাস্তবায়ন মনিটর করা;
৬. WHO FCTC এবং MPOWER নীতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা;
৭. তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে গবেষণা ও জরিপ পরিচালনা করা।