ঢাকাশুক্রবার , ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • অন্যান্য

তামাক-বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে যুক্ত হলো অর্থনীতিবিদদের গ্রুপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ১২, ২০২৪ ২:৪৫ অপরাহ্ণ । ১৭৩ জন

উন্নয়ন সমন্বয় কর্তৃক “বাংলাদেশ ইকোনমিস্টস ফর ইফেক্টিভ টোব্যাকো কন্ট্রোল” নামে একটি অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। উন্নয়ন সমন্বয় কার্যকর করারোপের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১ যুগের অধিক সময় ধরে পলিসি অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর করারোপের লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদদের নিয়ে এই নেটওয়ার্কটি গঠন করেছে। এই নেটওয়ার্কটির মূলত তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর করারোপে উচ্চ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের সাথে অ্যাডভোকেসিতে ভূমিকা রাখা, জন সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য নিবন্ধ লেখালেখি এবং তামাক-বিরোধী সকল গবেষণায় পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করা।

এই নেটওয়ার্কে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন বিআইডিএস-এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এসএম জুলফিকার আলী। আজকের এই নেটওর্য়াক গঠনের আলোচনার প্রারম্ভে ড. আতিউর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামাকে কার্যকর করারোপ না করায় আমরা ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্য থেকে আমরা অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছি। এতে করে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রাজনৈতিক অঙ্গিকারের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা সংবেদনশীল নীতি-নির্ধারকেরা আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তামাক পণ্যে বিশেষ করে সিগারেটে কার্যকর করারোপ বিষয়ে আরও তৎপর হবেন। মাননীয় সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের সামনের সারির নীতি-নির্ধারকসহ সকলের কাছ থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এনবিআর-এর পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সমর্থনই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আশা করেন, আজকের গঠিত বিইইটিসি নেটওর্য়াকটি সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ থেকে তামাকের নির্মূল করার জন্য গবেষণা ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে অ্যাডভোকেসিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

ড. জুলফিকার আলী বলেছেন, আমরা তামাক-জাতীয় পণ্য নিয়েই কেন এত বলি? কারণ এটি নেশাজাতীয় পণ্য এবং এটি ইনইলাস্টিসিক পণ্য। এজন্য অল্প অল্প করে দাম না বাড়িয়ে এক ধাক্কায় বাড়াতে হবে যাতে বড় প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, তামাকের চাহিদা কমলে সরকারের স্বাস্থ্য খাতে খরচও কমবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, “এরকম যে নেটওর্য়াক তৈরি হচ্ছে তাতে আমি অনেক আনন্দিত। আমি সর্বদা এই ফোরামে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করবো।” একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ বলেন “আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বিকল্প ফাইন্যান্সের কোনো ইনোভেটিভ মেকানিজম নিয়ে গবেষণা করে এবং অন্যান্য দেশের তামাক জাতীয় পণ্যের ওপর কার্যকর করারোপের প্রায়োগিক কৌশল গুলোর বিষয়ে এডভোকেসি করতে পারি।”
এছাড়াও, আজকে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ জহুরুল হক, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা কলেজ, ড. নাজমুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (অর্থনীতি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, হোমায়রা আহমেদ, গবেষণা সহযোগী, বিআইডিএস, নুসরাত আফরোজ তানিয়া, সহকারি অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মো রাফিদ আবরার মিঞা, গবেষণা কর্মকর্তা, বিআইআইএসএস, জেবুন্নেসা বিনতে জামান, গবেষণা সহযোগী, সানেম এবং মো. মাহবুবুল আলম, সহকারি অধ্যাপক, সরকারি তিতুমীর কলেজ।

এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তামাকের ওপর কার্যকর করারোপের বিষয়বস্তু নিয়ে তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের ডিরেক্টর রিসার্চ আবদুল্লাহ নাদভী এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের হেড অব প্রোগ্রাম শাহীন উল আলম।