বিএমইটি’র আওতাধীন ১১০ টি প্রশিক্ষণ সেন্টারে ড্রাইভিং ও পিডিও ক্লাসে যে সকল প্রশিক্ষক তামাক বিরোধী ভালো কাজ করবে তাদেরকে বাৎসরিক এওয়ার্ড প্রদান করবে বিএমইটি। আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিএমইটির হেড অফিস সহ সকল আঙ্গিক প্রতিষ্ঠানকে ধূমপানমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বিএমইটি’র মহাপরিচালক।
গত মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ সকাল ১০.০০ টায় বিএমইটি’র মহাপরিচালকের সভাকক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সংস্থাসমূহের (ঢাকাস্থ) সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে যৌথভাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি-ডাস্, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-বাটা, দি ইউনিয়ন ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি।
ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি-ডাসের নির্বাহী পরিচালক জনাব আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. শহীদুল আলম, এনডিসি (অতিরিক্ত সচিব), মহাপরিচালক, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী জনাব হোসেন আলী খোন্দকার,(অতিরিক্ত সচিব)। ডাস্ এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপুর সঞ্চালনায় সভায় পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনা করেন ডাস্ পলিসি এনালিস্ট জনাব আসরার হাবীব নিপু এবং উপস্থাপনার উপর বিশ্লেষণমূলক বক্তব্য দেন ডাস্ টীম লীড জনাব আমিনুল ইসলাম বকুল।
সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ডাস্’র প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লীড দোয়া বখশ্ শেখ। এছাড়া আরও বক্তব্য দেন বিএমইটি’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক জনাব আ.স.ম আশরাফুল ইসলাম, যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি জনাব ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্টস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ নূর আলী, বাটার ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী জনাব হেলাল আহমেদ, বিআরটিসি, মানস ও বিকেটিটিসি’র প্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সহযোগিতায় তাঁর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ধূমপায়ী এবং অধূমপায়ীদের উপর একটা জরিপ করে সেই রিপোর্ট সরকারের কাছে পেশ করার অনুরোধ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি ফর্মে ধূমপায়ী এবং অধূমপায়ী কলাম থাকবে যেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাক্ষর থাকবে। ড্রাইভিং ও পিডিও ক্লাসের ১১০ টা সেন্টারে যারা ধুমপান বিরোধী ভালো কাজ করবে তাদেরকে এওয়ার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। ডাস্ সহ অন্যান্য সংস্থা যারা ধূমপান বিরোধী কাজ করছেন তাদের দাবী দাওয়াগুলি এনফোর্সমেন্টে প্রস্তাব রাখার পরামর্শ দেন। সেই সাথে ধুমপানকে নিরূৎসায়িত করার জন্য তাঁর কারিগরী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটা এন্টি টোব্যাকো সেল গঠন করবেন এবং বাৎসরিকভাবে এওয়ার্ড প্রদান করার জন্য তাৎক্ষণিক বিএমইটি এন্টি টোব্যাকো ক্যাম্পেইন এওয়ার্ড ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে বিএমইটি’র ধূমপান বিরোধী সিদ্ধান্তগুলিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন যে, আমরা প্রত্যেকে যদি নিজনিজ জায়গা থেকে পৃথক পৃথক ভাবে ধূমপান বিরোধী কাজ করি যেমন ডাস্ গণপরিবহনে কাজ করেন, এইড ফাউন্ডেশন লাইসেন্সিং নিয়ে কাজ কওে সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রির ঘোষণা মোতাবেক ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত দেশ করা খুব সহজ হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন্ন তামাক বিরোধী এনজিওর প্রতিনিধিগণ, বিআরটিসি, বিজেটিটিসি সহ মিডিয়ার কর্মীবৃন্দ।