ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা বলা হচ্ছে এটিকে। খুব শিগগিরই এই বর্ষণ থামবে না বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর ভয়াবহ বন্যার কারণে ত্রিপুরায় গোমতী নদীর উপর তৈরি ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়া এবং বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশেও দেখা দিয়েছে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। প্লাবিত হয়েছে ১০টি জেলা। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন লাখ লাখ মানুষ।
তবে খুব শিগগিরই এই বর্ষণ থামবে না বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর আইএমডি। ভারতের ত্রিপুরায় আগামী কয়েকদিন আবারও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আইএমডির ওয়েবসাইটে।
শুক্রবার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আইএমডি জানিয়েছে, ত্রিপুরার সববিভাগে বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এছাড়া ত্রিপুরার দক্ষিণে কয়েকটি স্থানে (৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার) ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আইএমডির পূর্বাভাসে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশে একটি নিম্নচাপ তৈরির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল থেকে সেটি গঠিত হওয়া শুরু করবে। বঙ্গপোসাগরের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এই নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হতে পারে ত্রিপুরায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভয়াবহ এ বন্যায় ত্রিপুরায় ২২ জন এবং বাংলাদেশে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশে যথাক্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৭ ও ১৪ লাখ মানুষ।