পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র্যবিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার হার বাড়ানোসহ সকল উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে, বললেন প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। আজ (৪ মার্চ ২০২৪) সোমবার সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস ঝটিকা পরিদর্শন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি’র অফিস কক্ষে তাৎক্ষণিক এক মতবিনিময় আলোচনায় সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, জনস্বার্থের কাজগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে গতিশীল রাখতে হবে। দাপ্তরিক কাজের ফাইলগুলো দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনও জনদুর্ভোগ পছন্দ করেন না। তিনি সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, দাপ্তরিক নথিপত্রগুলো মুভমেন্টের দীর্ঘসূত্রতা নিরসন করে দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার মনমানসিকতা প্রত্যেকেরই থাকতে হবে। সরকারের উন্নয়ন কাজে কোনোরকম স্থিতিশীলতা নয়, গতিশীলতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া ও দারিদ্র্যবিমোচনের দিকটিকে অধিকতর গুরুত্বের সাথে দেখছেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দারিদ্র্যবিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে শিক্ষার হার বাড়ানোসহ সকল উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে দেশের উন্নয়ন কাজে শরীক থাকার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরও বলেন, অনেকে অভিযোগ করেন দাপ্তরিক নথিপত্র চালাচালির দীর্ঘসূত্রতার কারণে সরকারের উন্নয়ন কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই আমি চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ও নির্দেশনা অনুযায়ী পার্বত্যবাসীর কল্যাণে উন্নয়ন কাজগুলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করার।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপসচিব মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক তথ্য কমিশনার সুদত্ত চাকমাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।