ঢাকাশুক্রবার , ১ ডিসেম্বর ২০২৩

কপ-২৮

দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ২৮তম আসর শুরু হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ১, ২০২৩ ১১:০১ পূর্বাহ্ণ । ২৫৬ জন

শিশুসহ পৃথিবীর সব বয়সী মানুষের জীবন রক্ষায় তেল,গ্যাস ও কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা!

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতের দুবাই শহরে জাতিসংঘের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮-এ এসব কথা বলেন বক্তারা। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দুবাইয়ের এক্সপ্রো সিটিতে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ সম্মেলনে প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ ৭০ হাজার মানুষ অংশ নেবে বলে জানায় কপ-২৮ কর্তৃপক্ষ।

বৈশ্বিক জলবায়ু রক্ষার বিশাল এই সম্মেলনে অনান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন আগামী ৬/৭ ডিসেম্বর অংশ নেবেন।

বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে বিভিন্ন দেশ যেসব অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন কতদূর তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত প্রভাবগুলোর সাথে অভিযোজন নিয়েও আলোচনা হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশে খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে একটি তহবিল গঠন চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। তহবিল গঠনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ সম্মেলনে এটি অনুমোদন হতে পারে। আগামী ১২ ডিসেম্বর এ সম্মেলন শেষ হবে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ২০২৩ সালের বৈশ্বিক জলবায়ু পদক্ষেপ বিষয়ক সংস্করণে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা না গেলে বিপর্যয় দেখা দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বিভিন্ন দেশ ও রাজ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীরা আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায় জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এটি বাগাতে পারলে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ধরে রাখা যাবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে নজর দেওয়ার তাগিদও আসে সম্মেলনে।

কপ-২৮-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল-জাবের।

সুলতান আল-জাবের বলেন, আমাদের নষ্ট করার মতো সময় নেই। কার্বন নির্গমণ কমাতে আমাদের এখনই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বব্যাপী স্টকটেকের প্রতিক্রিয়া হিসাবে যে-কোনো সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যা মানুষ, জীবন এবং জীবিকা রক্ষা করার ভূমিকা রাখবে।

২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কপ-২১ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তিতে অনুমোদন দেয়। এই প্যারিস চুক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় রাষ্ট্রগুলোর করণীয় নির্ধারণে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলেন জানান কপ সভাপতি। তিনি বলেন, শুধু কাগজে থাকলে চলবে না, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের তরুণসহ বিশ্ব নাগরিকদের রক্ষায় সবাইকে সক্রিয়া ভূমিকা রাখতে হবে।