ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশের ৪৫টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কৃষিপণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৯, ২০২৪ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ । ৩০ জন

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বর্তমানে সারাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর মোট ৪৫টি পয়েন্টে ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’ পরিচালনা করছে। এতে দিনে প্রায় ১২-১৩ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচী’র আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি করছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এ কর্মসূচি চালু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ১৫ অক্টোবর হতে ঢাকা মহানগরীর ২০ টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচী’র আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করা হয়। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যপক আগ্রহের ভিত্তিতে ১৮ অক্টোবর হতে ঢাকা মহানগরীতে আরও ১০ টি পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে খাদ্য ভবন, রামপুরা, দক্ষিন খান, উত্তরখান, নতুন বাজার, উত্তর মুগদা, বাসাবো, বছিলা, রূপনগর, মিরপুর, কালসি, কামরাঙ্গিরচর, গাবতলী, হাজারিবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, কাঁঠাল বাগান, রায়ের বাজার, পলাশি মোড়, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তালতলা, মানিক মিয়া এভিনিউ ও বিএডিসি (৪টি) সহ মোট ৩০ টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে।

এর পাশাপাশি ২২ অক্টোবর হতে চট্টগ্রাম মহানগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ৫ টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচী’র আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হয়। সরকারি এ কর্মসূচি চালুর পর নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলায় ২৭ অক্টোবর হতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরও ৫ টি পয়েন্ট বৃদ্ধি করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে চকবাজার, দেওয়ানহাট, ষোলশহর, ফিরিঙ্গিবাজার, ফিরোজশাহ্, সিটি গেইট, হালি শহর, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও ফ্রী পোর্ট সহ মোট ১০ টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচী চলমান আছে।

এছাড়াও খুলনা মহানগরীর নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বস্তি প্রদানে ২৮ অক্টোবর হতে ৫টি পয়েন্টে চালু হয়েছে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি। মহানগরীর শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ও দৌলতপুরে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচী’র আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলছে।

কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি’র আওতায় রয়েছে, ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পটল, পেঁপে, করলা, কচু, শসা, লাউ সহ কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতাগণ ১ ডজন ডিম ১১০ টাকা, ১ কেজি আলু ৩০ টাকা, ১ কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ১ কেজি কাঁচা পেপে ১৫ টাকা, ১ কেজি পটল ৩০ টাকা, ১ কেজি করলা ৪০ টাকা, ১ কেজি শসা ১৫ টাকা, ১ কেজি কচু ৩০ টাকা, ১ পিস লাউ ২০ টাকা দরে কিনতে পারছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, সপ্তাহের সাত দিনই এই বিক্রয় কার্যক্রম চালু আছে। এছাড়াও সকল গ্রাহক যেন পণ্য পায় তা নিশ্চিত করার জন্য প্যাকেজ আকারে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে এবং একই সাথে সকল পণ্যের সর্বোচ্চ ক্রয়সীমাও উল্লেখ করা হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর মোট ৪৫ টি পয়েন্টে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দিনে প্রায় ১২-১৩ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচী’র আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি করছে।

বিক্রি করা কৃষিপণ্যগুলো পণ্যের উৎপাদনস্থল বা, হিমাগার পর্যায় থেকে সরাসরি আনা হচ্ছে ফলে উৎপাদক পর্যায়েও একদিকে যেমন ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে সরকারী ভর্তুকি দেওয়ার ফলে ভোক্তারাও সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য কিনতে পারছে।