ঢাকামঙ্গলবার , ৫ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশে ১৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন নেই : টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ৫, ২০২৪ ৩:০৩ অপরাহ্ণ । ১০৫ জন

দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচল করা ১৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসাথে ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, সাড়ে ১৮ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলেও জানায় সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

নিয়মানুযায়ী, দেশের সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক। কিন্তু ৪১ শতাংশ বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি রয়েছে।

পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরি নিয়েও চলে নানান বাহানা। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের প্রতিদিন প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আর তাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, প্রায় ৭০ শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে সংস্থাটির দাবি, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১ দশমিক ৮০ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এর মধ্যে সিটি সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ হার ৪৬ শতাংশ এবং আন্তঃজেলার ক্ষেত্রে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ গাড়ি চালক, কন্ডাক্টর/হেলপার/সুপারভাইজার মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে বাসে দায়িত্ব পালন করেন।

নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকরা ফোন ব্যবহার করেন। এর ফলে অনেকসময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানানো হয়।

তবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে বিআরটিএ এর প্রকাশিত তথ্যের গড়মিল হয় বলে দাবি করছে টিআইবি।

বিআরটিএ এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭ হাজার ৯০২ জন।