ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • অন্যান্য

উন্নয়ন সমন্বয়ের সেমিনারে আলোচকবৃন্দ

ধূমপান কমাতে সিগারেটে কার্যকর করারোপের এখনই সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪ ৩:৪৫ অপরাহ্ণ । ৩৯ জন

সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে তার ওপর কার্যকর হারে করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে প্রমাণিত। তবে বাংলাদেশে সিগারেটে কার্যকর করারোপ না হওয়ায় এখনও দেশের ১৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ১৫ শতাংশের বেশি ধূমপান করছেন। দেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সিগারেটে করারোপের গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে এসে কার্যকর করারোপের সূবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে।

আজ (২৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘সিগারেটে কার্যকর করারোপ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন আলোচনা করেন অংশগ্রহণকারিরা।

ঢাকায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত এই সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। বিআইডিএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. এস. এম. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, একই বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. সুজানা করিম, এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম।

সেমিনারে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং গবেষকবৃন্দ। সেমিনারের প্রেক্ষাপট পত্র উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।

প্রেক্ষাপট পত্র উপস্থাপনকালে আব্দুল্লাহ নাদভী বলেন যে, সিগারেটে কার্যকর করারোপ নিশ্চিত না করায় একদিকে নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে, অন্যদিকে- প্রতি বছর গড়ে ৬ হাজার ৬ শত কোটি টাকার মতো রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের তুলনায় সস্তায় সিগারেট পাওয়া যায় উল্লেখ করে ড. শিমুল বলেন যে, সিগারেটের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনার সবচেয়ে ব্যয়সাশ্রয়ী পদ্ধতি হলো এই ক্ষতিকারক পণ্যগুলোর দাম বেশি করে বাড়িয়ে তার ওপর কার্যকর হারে করারোপ। কিশোর-তরুণদের মধ্যে ধূমপান শুরু করা ঠেকানোর জন্য জাতীয় বাজেটে সিগারেটের দাম বেশি করে বাড়ানো একান্ত জরুরি বলে মত দেন ড. নাজমুল।

ড. সুজানা করিম বলেন যে, তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রয়োজনীয়তা জনপরিসরে তুলে ধরার পরও এক্ষেত্রে অগ্রগতি না হওয়ার পেছনে প্রভাবশালী মহলের হাত রয়েছে।