সাবিনা বেগম তার দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে নরসিংদীতে শপিং করতে আসেন। শপিং শেষে বাড়ি ফেরার সময় শিশুদের ট্রেন দেখাতে স্টেশন এলাকায় অবস্থান করেন। এসময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে মগ্ন থাকায় রেললাইনে চলে যায় সিনহা আক্তার। পরে কোলে থাকা ময়মুনাকে সঙ্গে নিয়েই সিনহাকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ে মা সাবিনা বেগম, এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী সূবর্ণ এক্সপ্রেসের নিচে কাঁটাপড়ে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ের করুণ মৃত্যু হয়।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মের ৩ নম্বর লাইনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসে কাটা পড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা পূর্ব মুনসেফের চর এলাকার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসি জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৫) ও তার দেড় বছর বয়সী কন্যা মায়মুনা আক্তার। এসময় গুরুত্বর আহত হয় তার অপর কন্যা সন্তান সিনহা আক্তার (৪)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সাবিনা বেগম তার দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে নরসিংদীতে শপিং করতে আসেন। শপিং শেষে বাড়ি ফেরার সময় শিশুদের ট্রেন দেখাতে স্টেশন এলাকায় অবস্থান করেন। এসময় মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে মগ্ন থাকায় রেললাইনে চলে যায় সিনহা আক্তার। পরে কোলে থাকা ময়মুনাকে সঙ্গে নিয়েই সিনহাকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়ে মা সাবিনা বেগম, এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী সূবর্ণ এক্সপ্রেসের নিচে কাঁটাপড়ে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ের করুণ মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় সিনহাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করেন।
নরসিংদী স্টেশন মাস্টার এটি এম মুছা জানায়, চট্রগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনেটি নরসিংদী স্টেশন অতিক্রম করছিল। ওই সময় ট্রেনটির নিচে পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। একটা শিশু বাচ্চা গুরুত্বর আহত হয়। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মাহামুদুল বাশার কমল জানায়, আহত শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ঢাকা থেকে চট্রগ্রামগামী সূবর্ণ এক্সপ্রেসে কাটাপড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। কারণ অনুসন্ধানসহ বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।