ঢাকাসোমবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নীলফামারীতে তিস্তার পানি কমেছে: বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ ১২:১২ অপরাহ্ণ । ২২ জন

নীলফামারী জেলায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতির আরেক দফা উন্নতি হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমার ২০ ষেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যরাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে দুই সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর দফায়-দফায় পানি কমে বেলা ১২টায় তিন সেণ্টিমিটার নিচে নামে। সন্ধ্যা ৬টায় আরও পানি কমে ২০ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের নিন্মাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যকবলিত হয়। দ্রুত নদীর পানি কমায় এসব গ্রামের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপনী ইউনিয়নের বাইশপুকুর গ্রামের হরিপদ রায় (৪০) বলেন,‘নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে গ্রামের নিন্মাঞ্চলের আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যায়। দ্রুত পানি কমায় জমি থেকে পানি নেমে গেছে’।

জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন,‘নদীর পানি কমায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। আমার ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের ১ হাজার ২০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছিল। দ্রুত পানি নামায় তারা স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরেছে’।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ‘জেলায় মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। এরপর দফায়-দফায় পানি কমে সোমবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার ৪৫ সেণ্টিমিটার নিচে নামে’।