ঢাকামঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অন্যান্য

নেভাডায় বার্ড ফ্লুর নতুন ধরন শনাক্ত : সিডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫ ১১:২০ পূর্বাহ্ণ । ৩৪ জন

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডায় নতুন ধরনের বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন এক দুগ্ধ শ্রমিক। গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু থেকে এটি নতুন ও ভিন্ন ধরনের ভাইরাস। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

ওই ব্যক্তির অসুস্থতাটিকে হালকা বলে মনে করা হয়েছিল। তার শরীরে প্রধান লক্ষণ ছিল চোখের লালভাব এবং জ্বালা। এমন অসুস্থতা সাধারণত বেশিরভাগ দুগ্ধবতী গরুর ক্ষেত্রে দেখা যায়। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলো জানায়, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হননি, তবে সুস্থ হয়েছেন।

এর আগে হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে আসা এক ডজনেরও বেশি মানুষের শরীরে নতুন এই ধরনটি দেখা গেছে। তবে এই প্রথম কোনো গরুর মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ল। অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেভাদার পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের চার্চিল কাউন্টির একটি খামারে আক্রান্ত ওই দুগ্ধ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া গেছে।

সিডিসির কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ব্যক্তির থেকে ভাইরাসটি অন্য কারও মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে— এমন কোনো প্রমাণ নেই। সংস্থাটি নিয়মিতই বলছে, ভাইরাসটি সাধারণ মানুষের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ।

বর্তমানে প্রাণী এবং কিছু মানুষের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বার্ড ফ্লু বিজ্ঞানীদের কাছে ‘টাইপ এ এইচ৫এন১’ ইনফ্লুয়েঞ্জা নামে পরিচিত। তবে এটির বিভিন্ন ধরন রয়েছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের শেষের দিকে গবাদি পশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরের বছরের মার্চে বি৩.১৩ নামে পরিচিত একটি সংস্করণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। এটি ১৬টি রাজ্যের ৯৬২টি গবাদি পশুকে সংক্রামিত করেছে। আর এসব আক্রান্তের বেশিরভাগই ক্যালিফোর্নিয়ায় হয়েছিল।

ডি১.১ নামে পরিচিত নতুন ধরনের ভাইরাসটি ৩১ জানুয়ারি নেভাদা গবাদি পশুর শরীরে শনাক্ত করা হয়। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগ্রহ করা দুধে এটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৬৮ জন বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সবাই গরু বা হাঁস-মুরগির সংস্পর্শে কাজ করতেন।

ভাইরাসটির ডি ১.১ ধরনটি বার্ড ফ্লু এবং কানাডায় একটি গুরুতর অসুস্থতার কারণ। যেটি প্রথম মার্কিন মৃত্যুর কারণও ছিল। লুইজিয়ানায় বন্য এবং বাড়ির উঠোনের পাখির সংস্পর্শে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। পরে তার তীব্র শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দেয় এবং জানুয়ারিতে তিনি মারা যান। ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় হাঁস-মুরগি থেকে ছড়ানো ভাইরাসে আক্রান্ত এক কিশোরী কয়েক মাস হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন।

সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকি কম থাকলেও সিডিসি বলছে, বার্ড ফ্লু সংক্রামিত গরু, পাখি বা অন্যান্য প্রাণীর সংস্পর্শ বা দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগে থাকা লোকদের জন্য বৃহত্তর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই লোকদের প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ব্যবহার এবং অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উত্সাহিত করা হয়।