পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের প্রথম চলাচল শুরু হবে আজ বুধবার। এর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন রেল যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে।অন্যদিকে এই পথের জন্য নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ রাত পৌনে ১০টায় আন্তনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে। রেলের সূচি অনুযায়ী, ভোর ৪টার পরপর ট্রেনটি পদ্মা সেতু অতিক্রম করবে। ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি পুনরায় ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে যাবে। খুলনায় পৌঁছানোর কথা বিকেল পৌনে ৪টার দিকে। শুরুতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিও চলাচল করবে।
এদিকে নতুন এই রেলপথের জন্য চলতি মাসের শুরুতে যে ভাড়া নির্ধারণ করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। নানা সমালোচনার মুখে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
রেলের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান বলেন, যাত্রীদের সুবিধার জন্য ভাড়া কমানো হয়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা পথে রেলের আগের ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল, সেই ভাড়া বাসের চেয়ে বেশি ছিল। পাশাপাশি ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় চলাচলকারী ট্রেনের চেয়ে ভাড়া বেশি পড়েছিল পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী ট্রেনের। তখন ভাড়া প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে প্রতিটি গন্তব্যের বাস্তব দূরত্বের সঙ্গে পদ্মা সেতু এবং গেন্ডারিয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত উড়ালপথের জন্য বাড়তি দূরত্ব যোগ করে রেলওয়ের ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট বা ঢাকা-রাজশাহী পথের তুলনায় ঢাকা-ভাঙ্গা পথে যাত্রীদের বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপে।
গত মাসের শুরুতে রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনে (নন-এসি) ভাড়া নির্ধারণ করেছিল ৩৫০ টাকা। এখন তা কমিয়ে ২৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ভাড়া কমল ১১৫ টাকা।
ট্রেনের টিকিটের সাতটি শ্রেণি আছে। প্রতি শ্রেণিতেই ভাড়া কমানো হয়েছে। এখন ঢাকা থেকে ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত শোভন শ্রেণির ভাড়া ধরা হয়েছে ১৯৫ টাকা, প্রথম শ্রেণির আসন ৩১০, প্রথম শ্রেণির বার্থের ভাড়া ৩৬৫, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) আসনের ভাড়া ৪৬৫ এবং এসি বার্থ শ্রেণির ভাড়া ৬৯৫ টাকা। শোভন চেয়ারে ঢাকা থেকে যশোরের ভাড়া ছিল ৫৬৫, যা এখন ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে খুলনা পথে ৬১৫–এর জায়গায় ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হবে যাত্রীদের।#