ঢাকামঙ্গলবার , ২৫ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য

‘পরোক্ষ ধূমপান থেকে ভ্রমণকারীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিচ্ছে রেলওয়ে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৫, ২০২৩ ১১:১২ অপরাহ্ণ । ৩৬৩ জন

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) জালাল উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন, তামাক ও ধূমপানমুক্ত রেলওয়ে গড়ে তোলার মাধ্যমে পরোক্ষ ধূমপান থেকে রেলে নিয়মিত ভ্রমণকারী যাত্রীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আজ ২৫ জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন: সম্ভাবনা ও করনীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

উক্ত ওয়েবারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোঃ জসিম উদ্দিন এবং টেকনিক্যাল এডভাইজার, ভাইটালষ্ট্রাটেজিস আমিনুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান।

জালাল উদ্দিন আহম্মেদ আরও বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে আর্ন্তজাতিক চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) এর আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে রেল মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তামাক নিয়ন্ত্রণে মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে হলে কৃষি, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। উক্ত নির্দেশিকা অনুসারে সারাদেশে বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার মেয়রগণ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ‍সুনিদিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।

আমিনুল ইসলাম সুজন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে হলে তামাক কোম্পানীর প্রভাব প্রতিহত করে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নীতিসমুহ সুরক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে। আর্ন্তজাতিকভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অনেক সুনাম অর্জন হয়েছে। এ সুনাম ধরে রেখে সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণকে গতিশীল করতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় পৃথক পৃথকভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে কোড অব কন্ডাক্ট প্রণয়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যহানীকর পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে সরকারের অতি সামান্য পরিমান যে শেয়ার রয়েছে সেটি প্রত্যাহার করার সময় এসেছে।