সামাজিকী করণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে পুরান ঢাকার পদ্মনিধি লেন সংলগ্ন সড়কে গাড়িমুক্ত সড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে বক্তারা বলেন, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতে প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান। অথচ ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থান রয়েছে জনপ্রতি ০.১ বর্গমিটারেরও কম। গত ২০ বছরে ঢাকা শহর থেকে ১২৬টি মাঠ হারিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, হেলথব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এবং পদ্মনিধি সমাজকল্যাণ সংঘের সার্বিক সহযোগিতায় ওই এলাকায় গাড়িমুক্ত সড়ক উদ্বোধন করা হয়।
প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার বিকাল ৩ থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সড়কে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ছবি আঁকা, দাবা, লুডু, ক্যারাম, দড়ি লাফ, ব্যাডমিন্টন, ক্রাফটিং এর কাজ শিখানোসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নেবে শিশুরা।
বক্তারা বলেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাঠ-পার্ক তৈরির প্রস্তাবনা রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়ন যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ বিষয়। শিশুসহ সকল এলাকাবাসীর খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টিতে এলাকার অভ্যন্তরে কম ব্যস্ত সড়কে নির্দিষ্ট সময় গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে বা নিয়ন্ত্রণ করে গাড়িমুক্ত সড়ক আয়োজন কার্যকরী উদ্যোগ।
ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, আমাদের বর্তমান এবং আগামীর প্রজন্মকে স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবন উপহার দিতে হলে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। শহর এলাকায় খেলার মাঠ-পার্কের স্বল্পতার কারণে প্রতিনিয়ত শিশুদেরকে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন।
প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী বলেন, পদ্মনিধি লেন, ওয়ারী আবাসিক এলাকায় শিশুদের খেলাধুলা এবং বিনোদনের জন্য গাড়িমুক্ত সড়কের মত আয়োজনের কোন বিকল্প নেই। এই ধরনের আয়োজনকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করার জন্য আমি এবং আমার এলাকাবাসি সবসময় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
আয়োজনের সভাপতির বক্তব্যে প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ বলেন, শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে সুস্থ রাখা, ভালো একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। শিশুদের ঘরবন্দি রেখে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি অভ্যস্ততা কমাতে প্রতিটি এলাকায় একটি কম ব্যস্ত সড়কে গাড়িমুক্ত সড়ক এর মতো আয়োজন করে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।