পৃথিবীতে সোমবার একটি তীব্র সৌর ঝড় আঘাত হেনেছে যা উত্তরের স্বাভাবিক আলোকে আরও দক্ষিণের রাতের আকাশের দিকে নিয়ে আসতে পারে। মার্কিন একটি সংস্থা এ ঘোষণা দিয়েছে।
একটি বিশেষায়িত সেন্টার, ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) জানায়, সোমবার ১৫০০ জিএমটি থেকে লেভেল-ফোর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের মাত্রা পাঁচ স্কেলে দেখা গেছে। এই অবস্থা কয়েক ঘন্টা ধরে চলতে পারে। তবে তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা নেই।
মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলো উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘একটি গুরুতর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের মধ্যে অরোরা আলাবামা এবং উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার মতো দক্ষিণের রাজ্যে অস্পষ্টভাবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
বিষ্ফোরণে কোরোনাল ভর ইজেকশনের (সিএমই) মাধ্যমে নতুন সৌর ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। সূর্য থেকে নিক্ষিপ্ত হওয়া শক্তিশালী কণাগুলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে আঘাত হানে এতে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ব্যাহত হয়।
রোববার নাসার মহাকাশচারী ম্যাথিউ ডমিনিক এক্সে অরোরার (নর্দার্ন লাইট) একটি চমৎকাার ছবি প্রকাশ করেছেন। যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। কিন্তু সৌর বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ও অনাকাক্সিক্ষত প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
এনওএএ বলেছে, উদাহরণস্বরূপ,তারা উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি যোগাযোগের অবনতি ঘটাতে পারেফ। উপগ্রহগুলোকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিদ্যুতের গ্রিডে ওভারলোড সৃষ্টি করতে পারে। স্পর্শকাতর অবকাঠামোর অপারেটরদের এই প্রভাবগুলো সীমিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবহিত করা হয়েছে।
গত মে মাসে, গ্রহটি ২০ বছরের মধ্যে রেকর্ড সবচেয়ে শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম অক্ষাংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় রাতের আকাশে অরোরা আলোকিত করে।
এই ধরনের ঘটনা সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ সূর্য বর্তমানে তার ১১ বছরের চক্র অনুযায়ী সর্বোচ্চ কার্যকলাপের কাছাকাছি। ১১ বছর পরপর সূর্যে এই ধরণের অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।