ঢাকামঙ্গলবার , ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের উপহার ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

admin
অক্টোবর ১৭, ২০২৩ ৯:০৩ অপরাহ্ণ । ২৩০ জন

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারের উপহার। পর্যায়ক্রমে সকল নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে এ বীমার আওতায় আনা হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ দাবি প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, চার ধরনের এনডিডি ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়নে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে এনডিডি ব্যক্তিদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও কেয়ার গিভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাদের জীবনকে সহজ করতে কাজ করছে সরকার।

বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমার পাইলটিংয়ের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে। ভবিষ্যতে সকল এনডিডি ব্যক্তিকে এর আওতায় আনার জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে; যোগ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু (এমপি) বলেন, সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতার আওতায় আনার পাশাপাশি বীমা সুবিধায় অন্তর্ভুক্তিকরণের ফলে তাদের জীবযাত্রা সহজ হবে। পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের হাতে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুহুল আমীন খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।

উল্লেখ্য, এনডিডি ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়পূর্বক একটি স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে সরকার। ২০২২ সালের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এর আওতায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং ঢাকা জেলার আওতাধীন উপজেলাসমূহে এক বছরের জন্য পাইলটিং ভিত্তিক কার্যক্রম চালু হয়।

এতে বীমাকৃত ব্যক্তি বা বীমাকৃত ব্যক্তির অভিভাবকের বার্ষিক আয় তিন লক্ষ টাকার কম হলে একশত পঞ্চাশ টাকা এবং বার্ষিক আয় তিন লক্ষ টাকার চেয়ে বেশি হলে ছয়শত টাকা হারে প্রিমিয়াম প্রদান করে বীমার আওতায় আসতে পারে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫০৪ জন এনডিডি ব্যক্তিকে বীমা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়। যার মধ্যে বীমা দাবি প্রদানের আবেদনের ভিত্তিতে ২০২ জন বীমাকৃত ব্যক্তির মধ্যে মোট নয় লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার আটশত আঠারো টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করার পাশাপাশি বীমা কার্যক্রমটির পাইলটিং শেষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট ও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক মূল্যায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে একটি কার্যকর স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক সেবা গ্রহীতাদের মাঝে বীমা চালুর পর্যায়ে রয়েছে।#